দিশা আলম, বিধাননগর: এসএমএসেই (SMS) পাতা প্রতারণার ফাঁদ! মেসেজ করে স্বাস্থ্যভবনে চকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা টাকা হাতিয়ে নিত জালিয়াতদের গ্যাং। খবর পেয়ে তদন্তে নামে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ৩ জনকে আদালতে তোলা হয়েছে। অভিযুক্তরা হল তনভীর আলম, অশোক রায় এবং পাপাই শর্মা। কীভাবে কাজ করত প্রতারণা চক্র? গত ২৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ খবর পায়, চাকরিপ্রার্থীদের নিশানা করে জালিয়াতরা। এসএমএসের মাধ্যমে চাকরির প্রস্তাব দিত তারা। এর পর সল্টলেকের বিভিন্ন সরকারি অফিসে নিয়োগপ্রার্থীদের সঙ্গে করতেন তারা। সেখানে কার্যত তাদের মগজ ধোলাই করা হত। মূলত স্বাস্থ্যভবনের গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলত তিন প্রতারক। তার পর আর তাদের হদিশ মিলত না।
[আরও পড়ুন: ‘জাতিগত জনগণনার ফলাফল প্রকাশ হোক’, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি কংগ্রেস নেতার]
তদন্তে নেমে বিধাননগরের দক্ষিণ থানার পুলিশ দেখে নদিয়ার গাংনাপুরের এক প্রতারিত রশিদ মণ্ডল অভিযোগ দায়ের করেছেন। একই কায়দায় তাঁর কাছ থেকেও ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়েছিল প্রতারকরা। তবে শুধু রশিদ নয়, প্রতারিত হয়েছে বহু নিয়োগপ্রার্থী। সেই তদন্তে নেমে তিনজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।