শাবির জামান, লালবাগ: ইটভাটায় খেলতে গিয়ে সেখানকার জমা জলে ডুবে মৃত্যু হল একই পরিবারের দুই নাবালক ও এক নাবালিকার। শনিবার সন্ধেয় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিতলা থানার নন্দনপুর এলাকায়। তিন শিশুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম সাদিকুল শেখ (৮), রশিদ শেখ (৬) ও আয়েশা খাতুন (৭)। স্থানীয়রা ওই নাবালক এবং নাবালিকাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নশিপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনায় শোকস্তব্ধ তিন শিশুর পরিবার। বাচ্চারা যে খেলতে গিয়ে আর বাড়িই ফিরবে না, কল্পনাও করতে পারছেন না তাঁরা।
[আরও পড়ুন: জীবিত রোগীর ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু! হুলস্থুল কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে ঝড় বৃষ্টির পর দুই ভাই সাদিকুল ও রশিদ খুড়তুতো বোন আয়েশাকে সঙ্গে নিয়ে কাছের ইটভাটার খেলতে যায়। এদিকে সন্ধে গড়িয়ে অন্ধকার নেমে আসলে বাড়ির লোকজন বাচ্চাদের খোঁজ শুরু করেন। এরই মধ্যে এক ব্যক্তির নজরে আসে, ইটভাটাতে ইট তৈরি করার জন্য মাটি কেটে যে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে, সেই খাদে দু’টি শিশু ভাসছে। সন্দেহ হওয়ায় তখনই ছুটে গিয়ে বাকিদের খবর দেন তিনি। স্থানীয়রা এসে দুই শিশুকে প্রথমে উদ্ধার করে। তারপর তল্লাশি চালিয়ে জলের তলা থেকে বের করা হয় আয়েশার নিথর দেহ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রানিতলা থানার (Ranitala PS) পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ইটভাটার মালিক। তিনি কোথায় আত্মগোপন করে রয়েছেন, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে তিন শিশুর এমন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর বর্তমানে থমথমে গোটা এলাকা। রানিতলার কোনও অভিভাবকই সন্তানকে চোখের আড়াল করতে চাইছেন না।