সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে ফের ঘনাচ্ছে অশান্তির কালোমেঘ। লুটপাট ও সন্ত্রাস চালাচ্ছ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র শাখা ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’-এর সদস্যরা। রবিবার বান্দরবানের রুমায় গহিন জঙ্গলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে কেএনএ-এর তিন সদস্য। উদ্ধার হয়েছে বেতার ও অস্ত্রশস্ত্র।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ডেবাছড়ার গভীর জঙ্গলে আস্তানা গেড়েছে কেএনএফ। এমন খবর পেয়েই অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে গুলির লড়াই। তার পরই সেখান থেকে কেএনএফের দুই জন সদস্যের দেহ উদ্ধার করা হয়। আরেকজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তারও মৃত্যু হয়। এই বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমি জানান, রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ১১ বছর পর ফের এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশি, সর্বোচ্চ শৃঙ্গজয় চিকিৎসক বাবরের]
এদিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার রাতে উখিয়ার ক্যাম্প-২০ এলাকার পাহাড়ে অভিযান চালায় ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ক্যাপ্টেন (অতিরিক্ত ডিআইজি) মহম্মদ ইকবাল। ক্যাম্প থেকে আটক করা হয় উখিয়ার ক্যাম্প-১৭ এইস ব্লকের আমির হোসেন (২৯), জিয়াউর রহমান (৩২), সৈয়দুল আমিন (৩০) ও মহম্মদ হারুন (২২) নামে ৪ জনকে। ধৃতদের কাছ থেকে দুটি ওয়ান শুটার গান (এলজি), চারটা মাঝারি সাইজের ওয়ান শুটার গান (এলজি), হ্যান্ডগ্রেনেড, রাইফেলের ও পিস্তলের গুলি, কার্তুজ-সহ আরও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।