অর্ণব দাস, বারাকপুর: সম্প্রতি বারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় ১৭টির পরিবর্তে আরও ৮টি থানা বাড়িয়ে মোট ২৫টি থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে শিল্পাঞ্চল ভাটপাড়া (Bhatpara) এবং জগদ্দল (Jagaddal) এলাকায় আরও তিনটি ফাঁড়ি তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি, নিয়োগ করা হচ্ছে অতিরিক্ত এসিপিও।
উত্তেজনা প্রবণ ভাটপাড়া এবং জগদ্দল থানা এলাকায় আরও তিনটি ফাঁড়ি তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কমিশনারেটে সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই থানা এলাকায় বারুইপাড়া, আটচালা বাগান এবং গোলঘর ফাঁড়ির অনুমোদন মিলেছে। একইসঙ্গে কমিশনারেট এলাকায় নতুন করে আরও ৮ জন এসিপি নিয়োগ করা হবে। এ বিষয়ে বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner) মনোজ ভর্মা বলেন, “ভাটপাড়া, জগদ্দল এলাকায় একাধিক গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে। তাই, এই দুটি থানা এলাকায় নতুন করে ফাঁড়ি তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেটার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। কমিশনারেট এলাকায় ৮ জন নতুন করে এসিপি নিয়োগ করা হচ্ছে। এতে কাজের গতি অনেকটাই বাড়বে।”
[আরও পড়ুন: যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে জোর, এবার শিয়ালদহ স্টেশনে তৈরি হচ্ছে ‘পারাবোলা’]
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাটপাড়া জগদ্দল এলাকা। তখন জগদ্দল থানার অধীনেই ছিল ভাটপাড়া ফাঁড়ি। এরপরই ভাটপাড়াকে থানা করা হয়। কিন্তু লোকসভা ভোট মেটার পরও অপরাধ এবং উত্তেজনা না কমায় কমিশনারেট এলাকায় নতুন করে দক্ষিণেশ্বর, নাগেরবাজার, কামারহাটি, মোহনপুর, হালিশহর, বাসুদেবপুর, শিবদাসপুর এবং জেঠিয়া এলাকায় থানা তৈরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই থানাগুলি আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
পরবর্তীতে ভাটপাড়া থানার অধীনে বারুইপাড়া এলাকায় একটি নতুন ফাঁড়ি, জগদ্দল থানার অধীনে আটচালা বাগান এবং গোলঘর এলাকা এলাকায় নতুন করে আরও দুটি ফাঁড়ি তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই এই তিনটি ফাঁড়ির অনুমোদন মিলেছে। ফাঁড়িগুলিতে কতজন করে পুলিশ কর্মী থাকবে তারও তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপাড়া এবং গোলঘর ফাঁড়িতে ২ জন করে সাব ইন্সপেক্টর, ৫ জন করে এএসআই এবং ৩০ জন করে কনস্টেবল মোতায়েন করা হচ্ছে। তবে, আটচালা বাগান ফাঁড়িতে কোন সাব ইন্সপেক্টর মোতায়েন করা হচ্ছে না। এখানে ১ জন এএসআই এবং ১০ জন কনস্টেবল থাকছে।