সুকুমার সরকার, ঢাকা: লুঙ্গি পড়ে অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জের। বাংলাদেশের (Bangladesh) দিনাজপুরের হাজি মহম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) তিন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হল। তবে শিক্ষকদের দাবি, শুধু লুঙ্গি পড়া নয়, তর্কে জড়িয়েছিলেন ওই শিক্ষার্থীরা।
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৪ আগস্ট অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সময়সূচি অনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় ফুড অ্যান্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের জেনারেল কেমিস্ট্রি কোর্সের (সিএইচই-১১১) পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলার সময় ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল ঠিক করতে গিয়ে পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক এক ছাত্রকে লুঙ্গি পড়া অবস্থায় দেখতে পান। ওই বিষয়টি অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে সংশ্নিষ্ট ছাত্রকে জানিয়ে জুম থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। আরেক ছাত্রকে জানালা দিয়ে অধিক আলো প্রবেশ করায় পর্দা টেনে দেওয়ার নির্দেশ দেন শিক্ষক। ওই ছাত্র জানালার পর্দা টানার জন্য উঠলে শিক্ষক তাকেও লুঙ্গি পরা দেখতে পান। তাকেও জুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। মোট তিনজনকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনের দিন অভ্যেস মতোই আড়ালে রইলেন প্রার্থী মমতা, ভোট দিলেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে]
অভিযুক্ত শিক্ষকরা জানান, অনলাইনে পরীক্ষার নির্দেশনাবলীতে ছাত্রদের লুঙ্গি পড়া যাবে না তা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে তোয়াক্কা করেনি ছাত্ররা। উলটে তারা অনলাইনেই শিক্ষকদের সঙ্গে তর্কে জড়ায়, অবজ্ঞা ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলে অভিযোগ। সেই কারণেই তাঁদের জুম থেকে রিমুভ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন আমার পিছনের জানালা দিয়ে আলো আসছিল। পর্দা টেনে দেওয়ার কথা বলেন একজন পরিদর্শক। এ সময় আমি উঠে জানালা বন্ধ করতে গেলে ওই শিক্ষক আমাকে লুঙ্গি পড়া দেখতে পান। এতে তিনি অনলাইনে পরীক্ষার ‘ড্রেসকোড’-এর কথা বলে আমাকে জুম থেকে বের করে দেন।
সংশ্নিষ্ট বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. সাজ্জাত হোসেন সরকার বলেন, “অনলাইনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বেশকিছু নীতিমালা আছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো ‘ড্রেসকোড’। ওই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে লুঙ্গি পরিহিত ছিল। তাঁদের লুঙ্গির পরিবর্তে ‘ড্রেসকোড’ অনুযায়ী পোশাক পড়তে বললে তারা সংশ্নিষ্ট শিক্ষকের সঙ্গে বাজেভাবে তর্কে জড়ায়। একজন শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্ররা অসদাচরণ করবে, এটি কাম্য নয়।”