সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত স্কুলে মিসাইল হামলা ইজরায়েলের। বৃহস্পতিবার গাজার এই হামলায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা এবং শিশুরা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। উল্লেখ্য, কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাধীন প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। যুদ্ধ বন্ধ করতে চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের উপরেও। এহেন পরিস্থিতিতে আবারও গাজায় মর্মান্তিক হামলা চালাল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার একাধিক মিসাইল আছড়ে পড়ে গাজার (Gaza) স্কুলটিতে। তেল আভিভের অভিযোগ, ওই স্কুলে হামাসের ঘাঁটি রয়েছে। ২০ থেকে ৩০ জন জঙ্গি ওই স্কুলে লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর ছিল ইজরায়েলের (Israel) গোয়েন্দাদের কাছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট একটি এলাকাকে নিশানা করে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি নেতানিয়াহু প্রশাসনের। ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানান, ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। তার মধ্যে ৯জন হামাস জঙ্গিকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়নি বলেই তাঁর দাবি।
[আরও পড়ুন: বড়সড় ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস! ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদে ঢোকার চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৩ যুবক]
যদিও জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার দাবি একেবারে নস্যাৎ করে দিয়েছেন হামাস পরিচালিত সরকারের মিডিয়া প্রধান। ইজরায়েলি হামলায় গুরুতর জখম হয়েছে ইমাদ নামে এক বালক। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে সে জানিয়েছে, "স্কুলে কোনও অস্ত্রধারী ছিল না। আমরা বাচ্চারাই ছিলাম, সকলে একসঙ্গে খেলছিলাম। কী অন্যায় করেছি আমরা? ওরা কেন আমাদের উপর হামলা করল?" উল্লেখ্য, এই হামলায় নিজের বাবাকে হারিয়েছে ইমাদ। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সারি দিয়ে মৃতদেহ রাখা রয়েছে হাসপাতালে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় ‘অগ্নিবর্ষণ’ করে ইজরায়েলি বিমানবাহিনী। এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৯ জনের। যার মধ্যে রয়েছেন দুজন পুলিশকর্মীও। বিভিন্ন দেশের চাপ, আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ সব কিছু উপেক্ষা করে রাফা-সহ গোটা গাজা ভূখণ্ডে তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবেও বিশেষ আমল দিচ্ছে না তারা। যা নিয়ে ফের একবার ইহুদি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।