সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঢাকঢোল পিটিয়ে বিহারে (Bihar) মদকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। অথচ বিষমদ খেয়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে সে রাজ্য। যার জেরে অস্বস্তিতে বিহার সরকার। যদিও বিষমদের জেরেই রাজ্যবাসীর মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি প্রশাসন।
গত কয়েকদিন ধরেই বিহারের একাধিক জেলা থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর আসছে বলে খবর। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর মিলেছে ভাগলপুর থেকে। সেখানে ১৬ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। বাঁকা জেলা থেকে মিলেছে ১০ জনের মৃত্যুর খবর। মাধেপুরা জেলা থেকে ৪টি মৃত্যুর খবর মিলেছে। সবমিলিয়ে সম্প্রতি ৩২টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর মিলেছে।
[আরও পড়ুন: ঝুলন্ত বাবা, বিছানা ও মেঝেয় পড়ে মা-মেয়ের দেহ, একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য]
মৃত্যুর কারণ জানতে দেহগুলি অটোপসি করতে পাঠিয়েছে প্রশাসন। রিপোর্ট আসার আগে মৃত্যুর কারণ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় তারা। এদিকে পরিবার এবং স্থানীয়দের দাবি, বিষমদের জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রিয়জনেদের। যদিও ভাগলপুর এবং বাঁকা জেলার জেলাশাসকের দাবি, পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন মৃতেরা প্রত্যেকেই অসুস্থ ছিলেন। তবু মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা হবে।
এদিকে সিয়ান জেলার সারওয়া গ্রামেও দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের দাবি, কাজ থেকে অস্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছিলেন তাঁরা। নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলেই মনে হচ্ছিল। তার পরই তাঁদের মৃত্যু হয়। দু’টি দেহেরই শেষকৃত্য করা হয়ে গিয়েছে। ফলে মৃত্যুর কারণ জানার উপায় নেই।
এদিকে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে নীতীশ কুমার সরকারকে। কংগ্রেস বিধায়ক অজিত শর্মার কথায়, “মদ নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সঠিকভাবে প্রনয়ণ করতে পারেনি এই সরকার। যার জেরে একের পর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চলেছে।”