সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭ দিনে ১০টি শহরে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। অবশেষে পুলিশের জালে খলিস্তানি (Khalistani) নেতা অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh)। রবিবাসরীয় সকালে আত্মসমর্পণ করার পর তাঁকে অসমের ডিব্রুগড়ের সেন্ট্রাল জেলে সরানো হচ্ছে। ১৮ মার্চ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অমৃতপাল। গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে তাঁকে তন্নতন্ন করে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে মিলল সাফল্য।
কেমন ছিল এই ক’দিনের তল্লাশি? এর মধ্যে দু’বার তিনি পুলিশের চোখে ধুলো দেন। প্রথমবার ১৮ মার্চ, জলন্ধরে। সেবার গাড়ি বদলানোর সময় একটু হলে ধরা পড়ে যাচ্ছিলেন অমৃতপাল। এরপর ২৮ মার্চ ফের একবার সুযোগ পেয়েছিল পুলিশ। সেবার হোশিয়ারপুরে ছায়াসঙ্গী পাপলপ্রীত সিংয়ের সঙ্গে ছিলেন অমৃতপাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে ধরা যায়নি।
[আরও পড়ুন: যৌনতা আর গোপনীয়তায় ভরা মুঘল হারেম, কেমন ছিল সেই বন্দিনীদের জীবন?]
বারবার তাঁকে ধরার সুযোগ হারিয়ে ক্রমেই মরিয়া হয়ে উঠছিল পুলিশ। অমৃতপালকে দেখা যায় রাস্তাতেও। সিসিটিভি ফুটেজে পাটিয়ালা, কুরুক্ষেত্র, দিল্লিতে তাঁর ঘুরে বেড়ানোর ছবি ও ভিডিও পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এখানেই শেষ নয়। দু’টি ভিডিও বার্তা ও একটি অডিও বার্তাও শেয়ার করেছিলেন অমৃতপাল।
ইতিমধ্যেই অমৃতপালকে ধরতে কড়া নজরদারি চালাতে শুরু করেছিল পাঞ্জাব পুলিশ। কয়েকদিন আগে পাঞ্জাবের নববর্ষ তথা বৈশাখীর সময় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। সেই সময় শোনা যায়, ভাটিন্ডায় তখত দমদমা সাহিবে এসে আত্মসমর্পণ করতে পারেন অমৃতপাল। কিন্তু তা হয়নি। প্রসঙ্গত, কেবল পাঞ্জাব নয়, হরিয়ানা, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশেও তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। রেলস্টেশনগুলিতে অমৃতপালের ছবি লাগিয়ে সন্ধান দিলে মোটা অঙ্কের পুরস্কারের ঘোষণাও করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি আমাদের বিধায়ক চুরি করতে পারে’, কর্ণাটক ভোটের আগেই আশঙ্কায় কংগ্রেস]
জাল ক্রমেই গুটিয়ে আনছিল পুলিশ। ১৫ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন অমৃতপালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগা সিং। গ্রেপ্তার হন অমৃতপালের আরও ৮ সঙ্গী। ফলে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া যে উপায় নেই সেকথা ক্রমেই বুঝতে পারছিলেন খলিস্তানি নেতা। অবশেষে রবিবারের সকালে পুলিশের কাছে ধরা দিলেন তিনি।