সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে সত্যি হল আশঙ্কা। বেঁচে নেই ইরাকে অপহৃত ৩৯ ভারতীয়। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় জানালেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী মসুল থেকে তাঁদের অপহরণ করে। তারপর থেকেই অপহৃতদের ফিরিয়ে আনতে কোমর বেঁধেছিল সরকার।
এদিন সংসদে বিদেশমন্ত্রী জানান, বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং ইরাকে গিয়ে ওই ভারতীয়দের দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে আনবেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত মসুলে মৃত ভারতীয়দের মধ্যে অধিকাংশই পাঞ্জাবের। তবে মৃতদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাও রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন হিমাচল প্রদেশ ও বিহারের বাসিন্দা। কাজের সন্ধানে ইরাক গিয়েছিলেন এঁরা, থাকতেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মসুলে। সেখানেই তাঁদের অপহরণ করে ইসলামিক স্টেট।
[কলকাতায় জাল পাসপোর্ট চক্রের পর্দাফাঁস, ধৃত ৯]
২০১৭-র জুলাই মাসে ইসলামিক স্টেটের কবজা থেকে মুক্ত করা হয় মসুল শহরকে। তারপরই একের পর এক গণকবরের খোঁজ পাওয়া যায়। তারপরই ইরাক সরকারের পরামর্শ মেনে নিখোঁজদের ডিএনএ সংগ্রহ করে কেন্দ্র। তারপরই সেই নমুনা মিলিয়ে মৃতদের পরিচয় জানতে পারা যায়। সুষমা জানান, মৃতদের মধ্যে ৩৮ জনের ডিএনএ সম্পূর্ণ মিলে গয়েছে। অবশিষ্টজনের মিলেছে ৭০ শতাংশ।
ইসলামিক স্টেটের হাত থেকে হরজিত মাসিহ নামে একজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই বছরই ১৫ জুন বাদুসের কাছে মরুভূমিতে নিয়ে গিয়ে আইএস ৩৯ জনকে গুলি করে মারে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, যতদিন না খুন হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলছে, ততদিন তাঁদের সন্ধান চালানো হবে। সুষমা জানান, ‘ডিপ পেনিট্রেশন স্যাটেলাইট’-এর মাধ্যমে মসুলে ৩৯ জনের একটি গণকবর খুঁজে পাওয়া যায়। তখনই তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে অনেকটাই নিশ্চিত হয় সরকার। তারপরই ইরাক সরকারকে দেহগুলি বের করার আবেদন জানায় নয়াদিল্লি।
যদিও অপহৃতদের ফিরে আসার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ ছিল, তবুও কিছুটা আশা বাকি ছিল তাঁদের আত্মীয়দের মধ্যে। কিন্তু বিদেশমন্ত্রীর ঘোষণায় এবার শেষ আশাটুকুও মুছে গেল। তবে মৃত্যুর কথা ঘোষণা করলেও কবে দেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি সুষমা স্বরাজ।
[রাম জন্মভূমিতে কখনই মসজিদ ছিল না, দাবি শঙ্করাচার্যের]
The post ইরাকে অপহৃত ৩৯ জন ভারতীয় আর বেঁচে নেই, সংসদে জানালেন সুষমা appeared first on Sangbad Pratidin.