shono
Advertisement

সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তে থ্রিডি লেজার স্ক্যানিং, কীভাবে এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে CBI?

সন্দেশখালিতে কীভাবে ইডির উপর হামলা হয়েছিল, তা জানতে তৎপর সিবিআই।
Posted: 08:08 PM Mar 08, 2024Updated: 09:19 PM Mar 08, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালিতে কীভাবে ইডির উপর হামলা হয়েছিল, তা জানতে তৎপর সিবিআই। দুদিন দফায় দফায় চলে তল্লাশি। শুক্রবার বগটুই মডেলে সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তে থ্রিডি লেজার স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Advertisement

এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে কাজ হয়? থ্রিডি লেজার স্ক্যানারের মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ছবি তোলা যায়। তার ফলে নির্দিষ্ট ঘটনাস্থল সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া সম্ভব। ঘটনাস্থল থেকে কোন বস্তু কত দূরে রয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছনো কিংবা বেরনোর রাস্তা সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া সম্ভব। ওই ঘটনার থ্রি ডি মডেল তৈরির পর ঘটনাস্থলে না পৌঁছে ভারচুয়ালি তদন্ত করা সম্ভব।

[আরও পড়ুন: প্রার্থী ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখন, তমলুকে লড়ছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ?]

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের পর ফের শুক্রবার শেখ শাহজাহানের সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে যায় সিবিআই। প্রায় ১৫টি গাড়িতে করে সিবিআই দল গিয়ে পৌঁছয় সেখানে। প্রথমেই সিবিআই চলে যায় শেখ শাহজাহানের মূল বাড়িতে। সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ ভিডিওগ্রাফি করা হয়। তার পর ইডির লাগানো শাহজাহানের বাড়ির তালার সিল খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে সেখানে চলে তল্লাশি। বাড়ির চৌহদ্দি ফিতে দিয়ে মাপজোক করা হয়। একদল সিবিআই আধিকারিক চলে যান সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহান মার্কেটে। সেখানে তাঁরা শেখ শাহজাহানের অফিস খোলার নির্দেশ দেন। বাজারের কেয়ারটেকার শাহজাহানের অফিস খুলে দেন। আবার অন্য একটি দল চলে যায় সরবেড়িয়ার কাছে ডুগরিপাড়া এলাকায়। সেখানে শাহজাহানের সঙ্গী দ্বীন আলির ছেলে আবু হোসেনের খোঁজে যায় সিবিআইয়ের আরেকটি দল।

কেন্দ্রীয় এই তদন্তাকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পেরেছিলেন ৫ জানুয়ারি শেখ শাহজাহান প্রথমে আবু হোসেনকে ফোন করেছিলেন। তাঁকে ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দেশখালির ‘বাঘ’, তা জানতে সিবিআই তাঁর বাড়িতে পৌঁছয়। যদিও ৫ জানুয়ারির সন্দেশখালি ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ফেরার ওই আবু হোসেন। অপরদিকে আকুঞ্জিপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে শেখ শাহজাহান সম্পর্কে কথাবার্তা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা কলকাতার উদ্দেশ্যে পুনরায় রওনা দেন। অন্যদিকে সিবিআইয়ের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল শুক্রবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে একাধিক নথি নিয়ে প্রবেশ করে। দীর্ঘক্ষণ তাঁরা বসিরহাট মহকুমা আদালতের দপ্তরে বন্ধ ঘরে বৈঠক করেন। দুঘণ্টা পরে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যান। সন্দেশখালি থেকে বেরিয়ে মিনাখাঁ থানায় যান সিবিআই আধিকারিকরা। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি থেকে নানা নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

[আরও পড়ুন: ‘হাতজোড় করে মমতাকে বলি, আমাকে ছেড়ে দিন’, ‘অবসর’ নিয়ে বিস্ফোরক চিরঞ্জিত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement