সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হাতুড়ি দিয়ে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ। এর পর নিজেও আত্মঘাতী হলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। রেলের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি বাসভবনে স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যার পর আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলির। লালগঞ্জ রেলওয়ে কোচ কারখানার মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ড. অরুণ কুমার। পুলিশের দাবি, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তবে তদন্তে পারিবারিক বিবাদের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, ওই পরিবারের সদস্যদের ঘরের বাইরে শেষবার দেখা গিয়েছিল রবিবার। এদিন এক সহকর্মী চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে দেখেন ভিতর থেকে দরজা বন্ধ। জানলা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন, ভিতরে ছড়িয়ে রয়েছে রক্তাক্ত দেহ। এর পরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে পা দিয়েই আত্মঘাতী হচ্ছে বাঙালি! সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
বাড়ির দরজা ভেঙে চার জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার প্রিয়দর্শী বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক প্রথমে স্ত্রী অর্চনা, ছেলে আরভ ও মেয়ে আদিভাকে ইঞ্জেকশন দিয়ে অচেতন করেন। এর পর তাদের মাথায় হাতুড়ির বাড়ি দেয়ে হত্যা করেন। শেষেও নিজেও আত্মঘাতী হন। নিজের হাতের শিরা কাটার পরে গলায় দড়ি দেন তিনি। বিস্তারিত তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।”