সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাত ফসকে কুয়োতে পড়ে গিয়েছিল হাতুড়ি। সেই সামান্য হাতুড়ি উদ্ধার করতে গিয়ে অকাল ঝরে গেল ৪ প্রাণ। দুর্ভাগ্যজনক এমই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুরে। খবর পেয়ে উদ্ধারে নামে পুলিশ। কুয়ো থেকে ৪ জনকে উদ্ধার করা হলেও হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ৪ জনের। শুক্রবার মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে ছাতারপুর জেলার কুর্বাহা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুর্বাহা গ্রামে গুরার এলাকায় এক বাড়ির সামনে ছিল পরিত্যক্ত কুয়ো। সেখানে কাজ করার সময় হাত ফসকে কুয়োতে পড়ে যায় হাতুড়ি। সেটি উদ্ধার করতে কুয়োয় নামেন বাড়ির মালিক। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ওই ব্যক্তি উঠে না আসায় বাড়ির আর এক সদস্য কুয়োতে নামেন। তবে নিচে নামার পর তারও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। বাড়ির আরও দুই যুবক তাঁদের উদ্ধারে ওই 'মৃত্যু কুয়ো'তে নামেন। এর পর তারাও আর উপরে ওঠেনি। বিষয়টি গুরুতর বুঝে এবার পুলিশের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা।
[আরও পড়ুন: যোগীর পথে এবার ইডি! দুর্নীতি মামলায় বুলডোজার-সহ সপা সাংসদের ঠিকানায় এজেন্সি]
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় গাধিমলেরহা থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে কুয়োর ভিতর থেকে একে একে বের করে আনা হয় ৪ জনকে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে সেখানে আনা হয় অ্যাম্বুলেন্স। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ৪ জনেরই। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত চারজনের নাম মুন্না কুশওয়াহা, শেখ আলতাফ, শেখ আসলাম ও শেখ বশির।
[আরও পড়ুন: পর্যটনে গতি, রাজ্যের সহজ নীতিতে হোম স্টের সংখ্যা ২৫০০ পার]
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পর গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, অন্তত ১০ বছর ধরে বন্ধ ছিল ওই অভিশপ্ত কুয়ো। পুলিশের অনুমান, দীর্ঘ বছর ধরে ওই কুয়ো বন্ধ থাকার জেরে সেখানে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়ে থাকতে পারে, যার জেরেই মৃত্যু হয় ওই ৪ জনের।