সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন লোকের কত জন স্ত্রী হতে পারে? পাঁচ, দশ, পনেরো? দাঁড়ান দাঁড়ান। সম্প্রতি বিহারে (Bihar) জাতিগত জনগণনা চলাকালীন এক ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে, যাঁর নাম রূপচাঁদ। দেখা গিয়েছে তাঁর স্ত্রীর সংখ্যা ৪০! না, কোনও লেখার ভুল নয়, সত্য়িই ৪০। যা ভাবছেন তা অবশ্য নয়। অতজন স্ত্রীকে নিয়ে সংসার মোটেও করেন না ভদ্রলোক। তাহলে? ব্যাপারটা কী?
বিষয়টা হল ওই ৪০ জন মহিলাই বিহারের আরওয়াল জেলার নিষিদ্ধ পল্লি অঞ্চলের বাসিন্দা। আর তাঁরা সকলেই স্বামীর নাম হিসেবে উল্লেখ করেছেন রূপচাঁদের নাম। নিজেদের সন্তানের নাম লেখার সময়ও বাবা হিসেবে রয়েছে ওই নামই। ওই এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড একটি নিষিদ্ধ পল্লি। বহু মহিলা সেখানে নাচ-গান করে লোকের মনোরঞ্জন করেন। তাঁদের কারওই কোনও নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই। আর তাই তাঁরা স্বামীর নাম হিসেবে লিখে দিয়েছেন রূপচাঁদ। কিন্তু কে এই রূপচাঁদ? এই নামটাই সকলে লিখেছেন কেন?
[আরও পড়ুন: ন’মাসে যেটা হল না ন’দিনে কী করে হল? প্রেসিডেন্সির সুপারকে তীব্র ভর্ৎসনা আদালতের ]
আর এখানেই রয়েছে ‘কাহানি মে টুইস্ট’। রূপচাঁদ আর কেউই নয়, ‘রুপিয়া’ অর্থাৎ টাকা। বিখ্যাত হিন্দি গান ‘না বাপ বড়া না ভাইয়া, সবসে বড়া রুপাইয়া’- এই গানের লাইন মনে পড়ে যায়। যে অর্থের জন্য ওই মহিলারা বাধ্যত এই পেশাকে বেছে নিয়েছেন, তাকেই নিজেদের ‘স্বামী’ অর্থাৎ জীবনসঙ্গী হিসেবে ধরে নিয়ে নামকরণ করেছেন ‘রূপচাঁদ’। জনগণনা করতে গিয়ে এমন নামের হদিশ ও পরে তার কারণ জানতে পেরে স্বাভাবিক ভাবেই বিস্মিত সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।