shono
Advertisement

Breaking News

দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ ৪৩ বছরের বাবা, ফেল করল ছেলে!

৩০ বছর আবার শিক্ষাজগতে ফিরে নজির গড়লেন পুণের বাসিন্দা ভাস্কর।
Posted: 12:01 PM Jun 20, 2022Updated: 03:07 PM Jun 20, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়াশোনার কোনও বয়স হয় না। কেরলের কাত্যায়নী আম্মা ২০১৮ সালে, ৯৬ বছর বয়সে শারীরিক প্রতিকূলতাকে জয় করে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। পরীক্ষা দেন। পাসও করেছিলেন। বয়স যে বাধা নয়, তা আবারও প্রমাণিত হল।

Advertisement

পুণের বাসিন্দা বছর ৪৩-এর ভাস্কর ওয়াঘমারে (Bhaskar Waghmare) দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করলেন। ছোট ছেলের সঙ্গে তিনিও এ বছর পরীক্ষায় বসেছিলেন। তবে পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি তাঁর ছোট ছেলে।

পড়াশোনা করার প্রবল ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সংসারে দায়িত্ব ঘাড়ে নিতে গিয়ে সপ্তম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করা হয়ে ওঠেনি ওই ভাস্করের। পড়াশোনা ছেড়ে কাজে ঢুকতে হয়েছিল। কিন্তু পড়াশোনার একটা সুপ্ত বাসনা মনের অন্দরে তাঁর ছিলই। একটু সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। দীর্ঘ ৩০ বছর পর সেই সুযোগ আসে। বাবা নয়, সহপাঠী হিসাবেই ছোট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড পরীক্ষায় বসেন ভাস্কর।

[আরও পড়ুন: OMG! ১০ টাকার কয়েন দিয়ে ৬ লাখের গাড়ি কিনলেন যুবক! কারণ জানলে অবাক হবেন]

ভাস্করের কথায়, ‘‘ইচ্ছা থাকলেও পারিবারিক দায়িত্বের কারণে পড়াশোনার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে নতুন করে শুরু করার ইচ্ছা থেকেই পড়াশোনা শুরু করেছিলাম। এখন আমার ছেলের জন্য চিন্তা হচ্ছে। ও পাশ করলে বেশি আনন্দ পেতাম। ও আমাকে পড়াশোনা করতে খুবই সাহায্য করেছিল।’’

ছেলে সাহিলের গলায় কিন্তু অন্য সুর। সে জানিয়েছে, নিজে পাশ করতে না পারলেও বাবার পাশের খবরে অত্যন্ত খুশি। পরবর্তীকালে তার বাবা যদি আরও পড়তে চান, তা হলে সে সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছে। এবং নিজেও হাল ছাড়বে না। পরের বার পরীক্ষা দিয়ে যাতে পাশ করে যেতে পারে, সেই চেষ্টাও চালিয়ে যাবে  বলে জানায় সাহিল। ছেলেকে সাহায্য করবেন ভাস্করও। এভাবেই দু’জনে জীবনের সমস্ত পরীক্ষায় উতরে যাবে বলেই বিশ্বাস পরিবারের।

[আরও পড়ুন: ৫০ বছর বয়সে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসেই পাশ! সাফাইকর্মীর কীর্তিতে মুগ্ধ নেটিজেনরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার