সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন। উৎসবের আমেজে গা ভাসিয়েছে গোটা দুনিয়া। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে গির্জায় গির্জায় ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মোমবাতি জ্বালিয়ে চলছে প্রার্থনা। গির্জা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিরাট একটি হল। সারি সারি বেঞ্চ পাতা রয়েছে। তার সামনে প্রার্থনার জায়গা ও যিশু খ্রিস্টের বিরাট মূর্তি। কিন্তু জানেন কি, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অদ্ভুত আকৃতির সব গির্জা। একটির প্রবেশ পথ খুঁজে পাওয়া মুশকিল তো অন্যটির কারুকার্য আপনাকে অবাক করে তোলে। আজ বড়দিনে চলুন ঘুরে দেখা যাক সেই সমস্ত অদ্ভুত গির্জাগুলি।
[বর্ষশেষের ছুটিতে ঘুরে আসুন সুন্দরবনের কাছে এই দুই নিরিবিলি জায়গায়]
১. দ্য চার্চ অফ হ্যালগ্রিমার (আইসল্যান্ড)
আইসল্যান্ডের চারটি সুউচ্চ আশ্চর্য সৌধের মধ্যে অন্যতম লুথেরান প্যারিশ চার্চ। এর উচ্চতা ২৪৪ ফুট। দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে একটু একটু করে তৈরি হয়েছে গির্জাটি। ১৯৪৫ সালে গির্জা তৈরি শুরু হয়েছিল। শেষ হয় ১৯৮৬ সালে। এই অনবদ্য স্থাপত্যের নেপথ্যের কারিগর স্যামুয়েলসন।
২. লাস লাজাস ক্যাথিড্রাল (কলম্বিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা)
দেখেই চোখ জুড়িয়ে যায়। কীভাবে তৈরি হল এমন পাহাড় প্রমাণ অদ্ভুত সুন্দর ক্যাথিড্রাল! ভাবতেই অবাক লাগে। ১৯১৬ সালে গুয়েতারা নদীর ক্যানেলের উপর তৈরি হয় এই ক্যাথিড্রাল। স্থানীয়দের মতে, এই নদীতেই আবির্ভাব ঘটেছিল ভার্জিন মেরির। সেই কারণেই এভাবে তৈরি করা হয়েছিল ক্যাথিড্রালটি।
৩. ডেভিস টু রুট আউট ইভিল (ক্যালগরি, এবি, কানাডা)
যেমন অদ্ভুত নাম, তেমনই অদ্ভুত এর আকার। এই আকারের জন্য বিতর্কও কম হয়নি। ভাবুন তো, ঈশ্বরের একটি প্রার্থনা স্থানের আকার যদি সম্পূর্ণ উলটো হয়, তবে কি সত্যিই তা মেনে নেওয়া যায়? এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। গির্জাটি দেখে মনে হয়, কোনও তুফানের ঝটকায় উলটে গিয়েছে। বিতর্ক এড়াতে ২০০৮ সালে ভ্যাঙ্কোভার থেকে ক্যালগরিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল গির্জাটি।
[কুম্ভমেলায় তাঁবুতেই মিলবে পাঁচতারা হোটেলের সুবিধা, কীভাবে জানেন?]
৪. সেন্ট বাসিলস ক্যাথিড্রাল (মস্কো, রাশিয়া)
ছবি-ভিডিওতে ডিসনি ওয়ার্ল্ড নিশ্চয়ই দেখেছেন। মস্কোর এই চার্চ সেই ডিসনি ওয়ার্ল্ডকেই যেন মনে করিয়ে দেন। রাশিয়ার রাজধানীর অন্যতম আকর্ষণ ক্যাথেড্রাল অব সেন্ট বাসিল। ১৫৫৫ থেকে ১৫৬১ সালের মধ্যে তৈরি হয়েছিল এই গির্জা। কথিত আছে, রেড স্কোয়ারে অবস্থিত এই গির্জার স্থপতিকে অন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তিনি এমন অভূতপূর্ব গির্জা আর না বানাতে পারেন। তবে শোনা যায়, সেই স্থপতি এরপরও বেশ কয়েকটি গির্জা বানিয়েছিলেন।
৫. দ্য গ্রিন চার্চ (বুয়েনস আইরেস, আর্জেন্টিনা)
এই গির্জায় গেলে আর যেন বাড়ি আসতেই ইচ্ছা করে না। অপূর্ব সুন্দর সবুজ থেকে চোখ ফেরানোই দায়। গোটা চার্চের দেওয়ার ঢাকা বাঁশ গাছের পাতা দিয়ে। আর এই বিষয়টিই একে করে তুলেছে অনন্য। লিওলেন মেসির দেশে ঘুরতে গেলে এ গির্জা দর্শন করতে ভুলবেন না।
The post বিশ্বের এই অদ্ভুত গির্জাগুলি দেখলে অবাক হবেন! appeared first on Sangbad Pratidin.