সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই দিনে জোড়া হামলায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান (Pakistan)। সকালে নৌসেনা ঘাঁটিতে বালোচ বিদ্রোহীদের হামলার পরে দুপুরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। জানা গিয়েছে, কনভয়ে বিস্ফোরণের জেরে বেশ কয়েকজন চিনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
হামলার ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। চারজন চিনা ইঞ্জিনিয়ার গাড়িতে চেপে ইসলামাবাদ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার দাসুতে যাচ্ছিলেন। সেখানে চিনের সহযোগিতায় একটি বাঁধ তৈরির কাজ চলছে। সেই কাজের তদারকি করতেই এদিন দাসুতে যাচ্ছিলেন চারজন। পথেই তাঁদের গাড়িতে এসে ধাক্কা মারে বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা ৬ জনের। তবে কনভয়ের অন্য গাড়িগুলো সুরক্ষিত রয়েছে।
[আরও পড়ুন: রমজানে কি ঘরে ফিরবেন পণবন্দিরা, হামাসের সঙ্গে দর কষাকষি ইজরায়েলের]
স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ আলি গন্দাপুর জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন চিনা নাগরিক (Chinese National)। গাড়ির পাকিস্তানি চালকেরও মৃত্যু হয়েছে। তবে পাকিস্তানের মাটিতে চিনা নাগরিকদের উপরে হামলার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০২১ সালে এই বাঁধ সংলগ্ন এলাকাতেই একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারান ৯ চিনা নাগরিক। সবমিলিয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল এই হামলায়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় বালোচ বিদ্রোহীরা। বিস্ফোরণ আর গুলিবৃষ্টিতে কেঁপে উঠেছে তুরবাটের পিএনএস ঘাঁটি। গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। পাকিস্তানের বিদ্রোহীদের দাবি, নৌসেনার এই ঘাঁটিতেই মোতায়েন থাকে চিনা ড্রোন। সেগুলো লক্ষ্য করেই আক্রমণ শানানো হয়েছে। হামলার পরে বিবৃতি প্রকাশ করেছে পাক সেনাবাহিনী। জানানো হয়, বালোচ হামলায় শহিদ হয়েছেন এক আধা সেনাকর্মী। সেনার পালটা মারে নিকেশ হয়েছে অন্তত ৫ বিদ্রোহীও। তবে চিনা নাগরিকদের উপর হামলার নেপথ্যেও বালোচের হাত রয়েছে কিনা, জানা যায়নি।