সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম (Cyclone Michaung) । হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মূলত দক্ষিণ ভারতের পূর্ব উপকূলে তাণ্ডব চালাতে পারে ওই ঘূর্ণঝড়। ইতিমধ্যে তার প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে হয়েছে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) এবং অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বিভিন্ন এলাকায়। তার ফলেই বানভাসী চেন্নাই (Chennai) শহরে দেওয়াল ধসে প্রাণ গেছে ২ জনের। দুর্যোগের জেরে পরে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩ জনের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা ঘটেছে চেন্নাইয়ের কানাতুর এলাকায়। ওই দেওয়ালটি কিছুদিন আগেই তৈরি হয়েছিল। রাতভর বৃষ্টি চলার পর সকালে হাওয়ার দাপটে ভেঙে পড়ে দেওয়ালটি। তাতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫। আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে রবিবার রাত থেকে চেন্নাই এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে সেই পূর্বাভাস।
[আরও পড়ুন: মোদির চক্ষুশূল ‘রেউড়ি’তেই কামাল মধ্যপ্রদেশে]
আপতকালীন পরিস্থিতির জন্য তৈরি এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ বাহিনী। ভারী বৃষ্টির কারণে তাম্বারাম, পিরকঙ্কারনাই এবং পেরুঙ্গালাথুর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকাগুলিতে আটকে পড়া ১৫ জনকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফের সদস্যরা। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে চেন্নাই বিমানবন্দর জল থইথই। দুর্যোগের জেরে সোমবার রাত ১১টা পর্যন্ত বাতিল বিমান। ঝুঁকি এড়াতে শহরের অন্যতম রেলব্রিজ বাসিন ব্রিজে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে। বাতিল হয়েছে ৬টি ট্রেন। জলে ভরে যাওয়ায় ১৪টি সাবওয়ে বন্ধ করেছে প্রশাসন। সব মিলিয়ে দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোরতর হচ্ছে চেন্নাইয়ে।
আলিপুর আবহওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ বর্তমানে পণ্ডিচেরি থেকে ২২০ কিলোমিটার পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে এবং চেন্নাই থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছে। নেল্লোর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব এবং মছলিপত্তনম থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। শক্তি বাড়িয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানবে।
[আরও পড়ুন: গেরুয়া ঝড়ে চাঙ্গা শেয়ার বাজার, সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে উত্থান সেনসেক্সের]
আবহাওয়াবিদদের অনুমান, অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর ও মছলিপত্তনমের মাঝামাঝি এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। সেই সময় এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার গতিবেগ হতে পারে। এর পর গতিপথ পরিবর্তন করে শুধুই উত্তর দিকে এগোবে ঘূর্ণিঝড়। তামিলনাড়ু, পণ্ডিচেরি, অন্ধ্রপ্রদেশে উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।