সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত হয়েছে পাকিস্তানি (Pakistan) সেনাবাহিনীর পাঁচ জওয়ান। উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাক সেনাবাহিনীর একটি কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলাকারীদের খোঁজে অভিযান চলছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: আফগানভূমে অশিক্ষার অন্ধকার! এবার স্কুলেও মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল তালিবান]
সামা টিভি সূত্রে খবর, শনিবার উত্তর ওয়াজিরিস্তানের স্পিন ওয়াম এলাকায় পাক বাহিনীর কনভয় লক্ষ্য করে প্রচণ্ড হামলা চালায় জঙ্গিরা। সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে পাক ‘ফ্রন্টিয়ার ফোর্স’-এর চার জওয়ান ও ‘লেভিস ফোর্স’-এর এক জওয়ান। এই হামলায কার্যত নড়েচড়ে বসেছে ইসলামাবাদ। কারণ, প্রাক্তন সেনশাসক পারভেজ মুশারফের আমলেও ওয়াজিরিস্তানে জঙ্গিদমন অভিযান চালায় পাক সেনাবাহিনী। তারপর ২০১৪ সালেও ওই অঞ্চলে তেহরিক-ই-তালিবান, আল কায়দা ও ইস্ট তুর্কেস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট-এর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ করেছিল তৎকালীন নওয়াজ শরিফ সরকার।
গত আগস্ট মাসে খাইবার-পাখতুনখোয়া অঞ্চলের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক পাক সেনার মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে নিহত হয় এক জঙ্গিও। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণও ঘটায় তালিবানদের ওই গোষ্ঠীটি। এই সংঘর্ষ নিয়ে যদিও পাক সেনার তরফে অবশ্য নির্দিষ্টভাবে তালিবানের নাম করা হয়নি।
পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, গোটা দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানেই একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ টিটিপি’র। আমেরিকায় ড্রোন হামলায় নিহত জঙ্গি নেতা বায়তুল্লা মেহসুদ প্রতিষ্ঠিত এই গোষ্ঠী বরাবরই পাক সরকারের বিরোধী। ২০১৪ সালে পেশোয়ারের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে শতাধিক পড়ুয়াকে খুন করেছিল টিটিপি জঙ্গিরা।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর হাক্কানি নেটওয়ার্ক-এর শীর্ষ নেতাদের সরকারে পদ দিয়েছে তালিবান। লস্কর, টিটিপি’র মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি আবারও তৎপর হয়েছে। কিন্তু তালিবান সরকারকে আন্তর্জাতিক মঞ্চের মান্যতা পাইয়ে দিতে লড়ে যাচ্ছে ইমরান খানের সরকার। ফলে দ্রুত আরও সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার হবে খোদ পাকিস্তান বলেই মত বিশ্লেষকদের।