সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গ্রেস মার্কস পেয়ে নিট পাশ করেছিলেন। সেই পরীক্ষার্থীদের নতুন করে পরীক্ষায় বসতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু নতুন পরীক্ষা দিতে এলেন মাত্র ৫২ শতাংশ পরীক্ষার্থী! সর্বভারতীয় মেডিক্যাল পরীক্ষায় নতুন করে বসতেই চাইলেন না আগেরবার সফল হওয়া পরীক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ।
চলতি বছর নিট (NEET) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। চাপের মুখে কেন্দ্র জানায়, ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী ‘ভুল’ প্রশ্নের জন্য গ্রেস মার্কস পেয়েছিলেন তাঁদের সেই বাড়তি গ্রেস মার্কস বাতিল করে দেওয়া হবে। ভুল প্রশ্নের জেরে যে ১৫৬৩ জন গ্রেস মার্কস পেয়েছেন, সেই গ্রেস মার্কস বাতিল করে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: সুকমায় ফের মাওবাদী হামলা, IED বিস্ফোরণে শহিদ ২ CRPF জওয়ান]
পরে এই দুর্নীতি নিয়ে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। NEET UG পরীক্ষায় গ্রেস মার্কস পাওয়া পরীক্ষার্থীদের রিটেস্ট দিতে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। রবিবার সাতটি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায়, ১৫৬৩ জনের মধ্যে ৭৫০ জন পরীক্ষা দিতে আসেননি। চণ্ডীগড়ে দুজনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কেউই আসেননি।
এনটিএর প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, মোট ৮১৩ জন রবিবার নিট পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। দেশজুড়ে মোট সাতটি পরীক্ষাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার মধ্যে ছত্তিশগড়ে ৬০২জনের মধ্যে ২৯১ জন পরীক্ষা দিয়েছেন, অনুপস্থিত ৩১১ জন। হরিয়ানার ৪৯৪ জনের মধ্যে ২০৭ জন অনুপস্থিত ছিলেন, পরীক্ষা দিয়েছেন ২৮৭ জন। মেঘালয়ে ৪৬৪ জনের মধ্যে ২৩০ জন অনুপস্থিত ছিলেন, ২৩৪ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। গুজরাটে একজন পরীক্ষার্থী বসেছেন নিটের রিটেস্টে।