সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকটি শহরে ইতিমধ্যে চালু হয়েছে ৫জি পরিষেবা। আগামী বছর পুজোর মধ্যে দেশের সর্বত্র ৫জি পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, এই ৫জি বিমান সুরক্ষায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। সেই কারণে আপাতত বিমানবন্দর চত্বর তো বটেই, সংলগ্ন এলাকাকে অত্যাধুনিক এই টেলিকম প্রযুক্তির আওতা থেকে বাদ রাখা হচ্ছে।
মোদ্দা কথা, অন্যত্র চালু হলেও বিমানবন্দরের আশপাশে থাকা বাড়ি, হোটেল, বিভিন্ন অফিসে মিলবে না ৫জি নেটওয়ার্ক। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাইয়ের মতো বহু শহরেই জনবসতিপূর্ণ এলাকা বিমানবন্দর সংলগ্ন। স্বাভাবিকভাবে ৫জি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন কয়েক লক্ষ মানুষ।
[আরও পড়ুন: WhatsApp স্টেটাসে যা ইচ্ছা পোস্ট করেন? নতুন আপডেটে সাবধান হওয়ার পালা!]
কেন্দ্রীয় সরকার ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-কে পাঠানো নির্দেশিকায় বলেছে, বিমানবন্দর এবং সংলগ্ন এলাকায় ৫জি পরিষেবা সার্বিক রূপে চালু করা যাবে না। কারণ, বিমান চলাচলের বর্তমান সিগন্যালিং ব্যবস্থায় চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে ৫জি ব্যান্ড।
কী সমস্যা হতে পারে? বিমানের যাত্রাপথ নির্দেশিকার প্রধান মাধ্যম রেডিও অল্টিমিটার এবং জিপিএস ব্যবস্থা। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট এসেছে, ওই অল্টিমিটার এবং ৫জি নেটওয়ার্কের ব্যান্ড প্রায় কাছাকাছি। সেক্ষেত্রে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিমান চলাচলের পরিকাঠামো ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। পালটা যুক্তি দিয়েছে টেলিকম সংস্থাগুলিও। তাদের দাবি, বিমান চলাচলের অল্টিমিটার যে ব্যান্ডে কার্যকর, সেটি হল ৪.৫ গিগাহার্ৎজ। আর ৫জি নেটওয়ার্ক চলবে ৩.৩ থেকে ৩.৭ গিগাহার্ৎজে। সুতরাং, অন্তত ৫০০ মেগাহার্ৎজের পার্থক্য থাকছেই। কোনওভাবেই দুই ব্যান্ডের মধ্যে সংঘাতের সম্ভাবনা নেই।