সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছ’বছরের ছোট্ট এক শিশু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) মিষ্টি করে ভিডিওতে তার নালিশ, “অনলাইনে ক্লাস টিচাররা অনেক বেশি হোমওয়ার্ক দিচ্ছেন। অনেকক্ষণ ক্লাস করাচ্ছেন।” শুধু তাই নয়, ভিডিওতে তার আরও প্রশ্ন, আমাদের মতো শিশুদের এত হোমওয়ার্ক কেন দেওয়া হয়? ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল কাশ্মীরের ছোট্ট মেয়েটির সেই ভিডিও। অনেকেই ছোট শিশুটির সমর্থনেই কথা বলেন। যারপর আবার নড়চড়ে বসেছে প্রশাসনও। ইতিমধ্যে ছোট ছোট শিশুদের উপর থেকে হোমওয়ার্কের চাপ কমাতে নির্দেশও দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) গভর্নরও।
গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ থেকেই বন্ধ হয়ে যায় অফিস, কারখানা, স্কুল, কলেজ। পরবর্তীতে আনলক পর্যায়ে অফিস-আদালত খুললেও খোলেনি স্কুল। তার উপর দেশে এখন জারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যার ফলে আগামিদিনেও স্কুল খোলার তেমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে অনলাইন পড়াশোনাতেই ভরসা রাখতে হচ্ছে। কিন্তু এই অনলাইন ক্লাসেই নাকি অনেক চাপ। আর সেকথা জানিয়েই খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নালিশ একরত্তি খুদের।
[আরও পড়ুন: প্রয়োজন নেই ট্রায়ালের! শীঘ্রই ভারতে মিলতে পারে ফাইজার-মডার্নার মতো বিদেশি টিকাও]
ঔরঙ্গজেব নাকশবন্দি নামে এক সাংবাদিক ওই শিশুটির ভিডিওটি পোস্ট করেন। সঙ্গে লেখেন, “অনলাইন ক্লাসে প্রচুর হোমওয়ার্ক দেওয়া হয়। অনেকক্ষণ ধরে ক্লাসও করানো হয়। আর তাই কাশ্মীরের ছোট্ট মেয়েটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাচ্ছে।” ৪৫ সেকেন্ডের ওই ক্লিপটিতে শিশুটিকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের ইংরেজি, অংক, উর্দু এবং পরিবেশ বিজ্ঞানের ক্লাস করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে কম্পিউটারের ক্লাসও রয়েছে। শিশুদের অনেক পরিশ্রম করতে হচ্ছে। মোদি সাহাব, কেন ছোট শিশুদের এত খাটতে হবে?” এর কিছু সময় পরেই তাকে বলতে শোনা যায়, “কী আর করা যাবে। আস্সাল্লামওয়ালিকুম। মোদি সাহাব, বাই।” মুহূর্তে তাঁর সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। যারপরই নড়েচড়ে বসে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। খোদ গর্ভনরের অফিস থেকে টুইট করা হয়। শিশুদের উপর থেকে চাপ কমাতে স্কুলগুলিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন পলিসিও নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।