সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপাতত ১৮ দিনের জন্য তাহাউর রানার ঠিকানা এখন এনআইএ হেফাজত। ১৪x১৪ ফুটের সেলে দিন কাটছে ২৬/১১ হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’-এর। প্রথম থেকেই 'সুইসাইড ওয়াচে' রাখা হয়েছে রানাকে। জানা যাচ্ছে, সে তিনটি জিনিস চেয়ে নিয়েছে তদন্তকারীদের থেকে- কোরান, কাগজ ও কলম। তবে কলমটি ‘সফট টিপ’ পেন। অর্থাৎ কোনওভাবেই ওই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি নিজের যেন কোনও ক্ষতি করার চেষ্টা করতে না পারে, এটাই লক্ষ্য। আর সেই কারণেই ৬৪ বছরের রানাকে সিসিটিভির নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, জেলকুঠুরির মধ্যেই দিনে পাঁচবার নমাজ পড়ে রানা। যে তিনটি জিনিস সে চেয়েছে, তার বাইরে তার কোনও দাবিও নেই। এদিকে ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করানো হবে বলেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপশি নিয়ম অনুযায়ী, ওই জঙ্গিকে আইনি সহায়তা দিয়েছে দিল্লির লিগ্যাল সার্ভিস অথোরিটির আইনজীবী। একদিন অন্তর তার জন্য নিযুক্ত আইনজীবী দেখা করতে পারবে রানার সঙ্গে। এদিকে এর মধ্যেই রানার 'ভয়েস স্যাম্পল' সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ রানাকে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিশেষ বিমান। রানাকে ভারতে ফেরানোর পরে একটি বিবৃতি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২০০৮ সালের ওই জঙ্গি হানার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন রানা! রাতের দিকে পাটিয়ালা হাউসের বিশেষ এনআইএ আদালতে তোলা হয় পাক বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিককে। শুনানিতে এনআইএ জানায়, মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রের রহস্য উন্মোচনের জন্য রানাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ২০ দিনের হেফাজত চেয়েছিল। তবে আদালত ১৮ দিনের হেফজত মঞ্জুর করেছে।