স্টাফ রিপোর্টার: প্রথম মেধাতালিকায় মেলেনি পছন্দের কলেজ। বুধবার এমনই ৬২ হাজারের বেশি পড়ুয়া পেলেন তাঁদের পছন্দের তালিকার উপরের দিকে থাকা কলেজ বা কোর্সে ভর্তির সুযোগ। শুধু তাই নয়। প্রথম ধাপের মেধাতালিকায় প্রায় এক লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে কোনও আসন বরাদ্দ করা হয়নি কেন্দ্রীয় ভর্তির পোর্টালে। তাঁদের মধ্যেও ৫৮ হাজারের বেশি পড়ুয়াকে আসন বরাদ্দ করা হয়েছে আপগ্রেড রাউন্ডে। আপগ্রেড হোক বা নতুন করে বরাদ্দকৃত আসন, দুইয়ের ক্ষেত্রেই প্রথমদিন থেকে নির্ধারিত ফি জমা করে ভর্তির গতি বেশ ভালো বলেই জানা গিয়েছে।
রাজ্যের ৪৬১টি কলেজে স্নাতক স্তরের কোর্সগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করা ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬৩ জনের মধ্যে প্রথম মেধাতালিকাতেই আসন বরাদ্দ করা হয়েছিল ৪ লক্ষ ২২ হাজার ২৪৫ জন ছাত্রছাত্রীকে। তাঁদের মধ্যে বরাদ্দকৃত আসনের নির্ধারিত ফি জমা করে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৮৪ জন। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ১০৮ জন পড়ুয়া আপগ্রেডের জন্য অর্থাৎ পরবর্তীতে তাঁদের পছন্দের তালিকার উপরের দিকে থাকা কলেজ বা কোর্সে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৬২ হাজার ৪২৩ জনকে এদিন আপগ্রেড রাউন্ডে আসন বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৫৫ শতাংশ ইচ্ছুক পড়ুয়াই পেলেন এক বা একাধিক ধাপ উপরের পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ।
[আরও পড়ুন: ৫ মিনিটের ‘অপারেশনে’ লুট ৬ লক্ষ টাকা! মালদহের ডাকাতিতে স্থানীয় যোগ]
অন্যদিকে, প্রথম মেধাতালিকায় আসন বরাদ্দ করা হয়নি ১ লক্ষ ৫ হাজার ৪১৮ জন পড়ুয়াকে। আপগ্রেড রাউন্ডে তাঁদের মধ্যে নতুন করে আসন বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৮ হাজার ৮০৪ জনকে। অর্থাৎ সর্বসাকুল্যে মাত্র ৪৬ হাজার ৬১৪ জন পড়ুয়াকে প্রথম দফার ভর্তি প্রক্রিয়ায় আসন বরাদ্দ করা হয়নি কেন্দ্রীয় পোর্টালে। যদিও ৮ আগস্ট থেকে শুরু হতে চলা দ্বিতীয় দফার ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফের সুযোগ পাবেন তাঁরা।
বুধবার আপগ্রেড রাউন্ডের মেধাতালিকা প্রকাশের সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে বরাদ্দকৃত আসনে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়া। যা চলবে ২৮ জুলাই পর্যন্ত। এই ধাপে যে পড়ুয়াদের আসন আপগ্রেড করা হয়েছে, তাঁদের সম্পূর্ণ কোর্স ফি দিতে হচ্ছে না। আগের আসনে ভর্তির জন্য তাঁরা যে ফি দিয়েছিলেন, নতুন আসনের ফি তার থেকে বেশি হলে, অতিরিক্ত অর্থটুকু জমা করলেই ভর্তি হতে পারছেন পড়ুয়ারা। এবং আগের তুলনায় নতুন আসনের কোর্স ফি কম হলে, তাঁদের আর আলাদা করে ফি তো দিতে হচ্ছেই না। বরং অতিরিক্ত অর্থ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে ফিরে পাবেন তাঁরা। উচ্চশিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাত ৯টা পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি পড়ুয়া আপগ্রেড আসনে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। নতুন করে যে ৫৮ হাজারকে আসন বরাদ্দ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার পড়ুয়া নির্ধারিত কোর্স ফি জমা করে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন।
উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কর্তারা ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের আরও একবার সতর্ক করে দিয়েছেন সশরীরে নথি যাচাইয়ে অংশগ্রহের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। কারণ, অনলাইনে ফি জমা করে এই ভর্তি প্রভিশনাল বা শর্তসাপেক্ষ। যে কলেজে ভর্তি হয়েছেন সেই কলেজে সশরীরে নথি যাচাই অংশগ্রহণ করার পরেই তা চূড়ান্ত হবে। সেই প্রক্রিয়া ২৮ জুলাই থেকে শুরু হয়ে চলবে ৬ আগস্ট পর্যন্ত। কোনও পড়ুয়া সশরীরে নথি যাচাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করলে, তাঁর ভর্তি বাতিল পর্যন্ত হতে পারে জানিয়েছেন দপ্তরের কর্তারা।