সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারচুপি যে হয়েছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্র। এবার সময় যত গড়াচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। শনিবার ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের পুনর্মূল্যায়নের ফল প্রকাশ্যে আসার পর ফুল মার্কস (৭২০) পাওয়া পড়ুয়াদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে হরিয়ানার এক কোচিং সেন্টার। গত ৪ জুন নিটের ফল প্রকাশ হওয়ার পর এই কোচিং সেন্টার থেকে ৬ পরীক্ষার্থী ৭২০ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়। রি-টেস্টের পর দেখা গেল ৭২০ তো দূর এখানে একজন পড়ুয়া পেয়েছেন ৬৮২ নম্বর।
হরিয়ানার ঝাঝরে অবস্থিত এই কোচিং সেন্টারের নাম হরদয়াল পাবলিক স্কুল সেন্টার। ৪ জুন নিট পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল এই সেন্টার। যে ৬৭ জন পরীক্ষায় ফুল মার্কস পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল তার মধ্যে এই কেন্দ্র থেকে ছিল ৬ জন। বিতর্ক মাথাচাড়া দেওয়ার পর যারা গ্রেস মার্কস পেয়েছিল তাঁদের রি-টেস্টে নেওয়া হয়। শনিবার ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল এই কেন্দ্র থেকে এবার সর্বোচ্চ নম্বর ৬৮২। প্রথমস্থান যারা অধিকার করেছিল তাঁদের আর মেধা তালিকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি ওই কেন্দ্র থেকে মোট ১৩ জন এবার ৬০০-র বেশি নম্বর পেয়েছে।
[আরও পড়ুন: মহিলাদের হাজার টাকা, ফ্রি বিদ্যুৎ! ভোটমুখী হরিয়ানায় ‘৫ গ্যারান্টি’ আপের]
গত ৫ মে NEET-UG পরীক্ষা হয়। প্রাথমিক ফলপ্রকাশের পরে দেখা যায়, প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। পরে গ্রেস মার্কস দেওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে নেয় পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। যারা গ্রেস মার্কস পেয়েছিল তাঁদের নেওয়া হয় রি-টেস্ট। এর পরই দেখা যাচ্ছে মেধা তালিকার এই ব্যাপক রদবদল।
এদিকে নিট মামলার তদন্তে নেমে একের পর এক রহস্যের জাল ছিঁড়তে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। প্রশ্ন চুরিতো বটেই প্রশ্নপত্রের সমাধানের জন্য সলভার গ্যাং তৈরি করেছিল এই চক্র। তদন্তে নেমে এই সলভার গ্যাংয়ের ৫ জন মেডিক্যাল পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করেছে এজেন্সি। গত শুক্রবার এই গ্যাংয়ের এক মহিলা সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়।