অর্ণব আইচ: অভিনব পদ্ধতিতে ব্যাংক জালিয়াতি। কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়ল সাত জালিয়াত। অন্তত ৪৫ লক্ষ টাকার জালিয়াতিতে অভিযুক্ত প্রত্যেকে। এখনও পর্যন্ত সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে।
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সিআইটি রোডের শাখার মাধ্যমে এই জালিয়াতির কারবার রমরমিয়ে চলছিল। রীতিমতো ছক কষে টাকা আত্মসাৎ করত জালিয়াতরা। ব্যাংকে দু’জন অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। সেই অ্যাকাউন্টেই সমস্ত টাকা এসে জমা হত। পরে তা তুলে নেওয়া হত। কীভাবে হত এই পুরো ঘটনা?
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেরই আউটসোর্স কর্মী। তার সাহায্যেই গোটা বিষয়টি হত। ব্যাংকের আধিকারিকদের আইডি ও পাসওয়ার্ডের সাহায্যে নাকি প্রথমে সাধারণ গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের মোবাইল নম্বর ও ই-মেল নম্বর পালটে দেওয়া হতো। যাতে সেখানে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য না যেতে পারে। তা হয়ে গেলেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে তা দুই জালিয়াতের অ্যাকাউন্টে ফেলে দেওয়া হত। পরে সেই টাকা তুলে নিয়ে আরও দুই জালিয়াতের কাছে গচ্ছিত রাখা হয়।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: দেশে আরও কমল করোনার দাপট, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৫৭৯ জন]
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই এই ব্যাংক জালিয়াতির কারবার চলছিল। বিষয়টি ব্যাংকের এক গ্রাহকের নজরে আসে। তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে অ্যান্টি ব্যাংক ফ্রড শাখার অফিসাররা। তাতেই এই জালিয়াতির পর্দা ফাঁস হয়। প্রথমে চারজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের সন্দেহ এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িয়ে থাকতে পারে। সেই খোঁজ পেতেই ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ৪৫ লক্ষ টাকার মাত্র সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকা কোথায়, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।