সুব্রত বিশ্বাস ও সৌরভ মাজি: রেলে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ-লক্ষ টাকার প্রতারণা। গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের নামে মোটা টাকা তোলা হয়েছে বাজার থেকে। মঙ্গলবার সেই চক্রের পর্দা ফাঁস করল বর্ধমান আরপিএফ। গ্রেপ্তার চক্রের চাঁই-সহ ৭। বর্ধমানের ওই অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে রেলে নিয়োগ সংক্রান্ত বহু নথি। অভিযোগ, বর্ধমানের রেলওয়ে ইনস্টিটিউট ভাড়া নিয়ে চলত চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের প্রশিক্ষণ। সেখানে হানা দেয় আরপিএফ। ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্য়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিলেছে বলে খবর।
গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমান রেলওয়ে ইনস্টিটিউটে অভিযান চালায় আরপিএফ অফিসাররা। সেখানে উপস্থিত চারজন চাকরি প্রার্থীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্ধমান রেল স্টেশনের আরপিএফ পোস্টে নিয়ে আসা হয়। আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে গ্রুপ-সি পদে নিয়োগের জাল নিয়োগপত্র, ৩টি জাল খালি পরিষেবা বই, ভারতীয় রেলের গ্রুপ-ডি পদের জন্য ৬টি জাল নিয়োগ ফর্ম,৭টি জাল RRB OMR সেট, ১টি জাল জয়েনিং রেজিস্টার উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তিনটি ৪ পাতার প্রশ্নপত্র, তিনটি আইডি কার্ড পাওয়ার আবেদনপত্র, একটি রাবার স্ট্যাম্প মিলেছে।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর দেহরক্ষী মৃত্যু: এতদিন পর FIR কেন? হাই কোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য]
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শেখ জিন্নাত আলি। বাড়ি বর্ধমান শহরের দুবরাজদিঘিতে। অন্যান্য ধৃতরা হল অরূপরতন মণ্ডল, রঞ্জিত কুমার সর্বজন ওরফে রঞ্জিত গঙ্গোপাধ্যায়, বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর কুন্ডু, প্রতুলকুমার রায়, ফজলু সেখ। পরে আরপিএফ-এর তরফে ধৃতদের বর্ধমান পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রেলের গ্রুপ ডি ও সি পদের চাকরির জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে দাবি করেছিল ধৃতরা। সেই মতো অনেকেই গত এক বছরে ধাপে ধাপে প্রায় এক লক্ষ টাকা করে প্রতারকদের মিটিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।