সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রহ মানেই সে আসলে কোনও এক নক্ষত্রের সংসারে থাকে। যেমন আমাদের পৃথিবী। সূর্যের পরিবারের এক সদস্য আমাদের এই নীল রঙের গ্রহ। কিন্তু এমন গ্রহ কি থাকতে পারে যে 'স্বাধীন'? ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির ইউক্লিড টেলিস্কোপ খুঁজে পেল এমনই সাত-সাতটি গ্রহ। যারা কোনও নক্ষত্রের সঙ্গে 'বাঁধা' নয়। অনন্ত মহাশূন্য দিয়ে ভেসে চলেছে এক অনির্দেশ্য পথে! এই গ্রহগুলোয় নেই দিনরাতের হিসেব। কোনও দিন, বছরের নিক্তিতে তাদের কালপর্বকে মাপা যাবে না। কেননা নক্ষত্রের পরিবারে না থাকায় কাউকে প্রদক্ষিণ করার প্রয়োজনই যে নেই তাদের।
কিন্তু এমন গ্রহে কি প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে? বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সেই সম্ভাবনা কিন্তু রয়েছে! তবে এর বেশি কিছু এখনও জানা যায়নি। গত বছরের জুলাইয়ে যে মিশন চালু করেছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা, সেই সংস্থার তরফে গত সপ্তাহেই প্রথম বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের কথা জানানো হয়েছে। যার অন্যতম এই সাত গ্রহের (Planet) বিস্ময়কর অবস্থান।
[আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে বিমান, সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে দৌড়তে শুরু করলেন যাত্রী! তার পর?]
যে সাত গ্রহের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা, তাদের সম্পর্কে আর কী জানানো হয়েছে। স্প্যানিশ মহাকাশচারী এদুয়ার্দো মার্টিন জানিয়েছেন, এই গ্রহগুলো যেন বরফশৈলের চূড়ামাত্র। কেননা, যেহেতু এরা কোনও আলোই প্রতিফলিত করে না, তাই অন্ধকার মহাবিশ্বে এমন গ্রহদের খুঁজতে যাওয়া খড়ের গাদায় সুচ খোঁজার চেয়েও কঠিন।
কিন্তু কীভাবে তৈরি হয় এই ধরনের 'রাফ প্ল্যানেট?' মনে করা হয়, এই গ্রহগুলোও অনেক সময়ই হয়তো কোনও নক্ষত্রের পরিবারের অংশ হিসেবে জন্ম নেয়। পরে সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আবার অনেক সময় তারা সত্যিই কোনও নক্ষত্রের সঙ্গে সম্পর্করহিত। নিজেরাই জন্ম নেয়। এই আকাশগঙ্গাতেই অজুত নিযুত সংখ্যক গ্রহ থাকতে পারে। ২০২৭ সালে নাসা (NASA) মহাকাশে পাঠাবে রোমান স্পেস টেলিস্কোপ। আশা, সেই টেলিস্কোপের সাহায্যে হয়তো এই ধরনের গ্রহ সম্পর্কে আরও তথ্য হাতে আসতে চলেছে।
এদিকে ইউক্লিড খুঁজে পেয়েছে এমন গ্যাসীয় গ্রহও, যার আয়তন বৃহস্পতির অন্তত চারগুণ। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতি সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ। কিন্তু সেই গ্রহকেও আকার-আয়তনে 'গোল' দিতে পারে এই গ্যাসীয় গ্রহ। অরিয়ন নেবুলা, যা পৃথিবী থেকে দেড় হাজার আলোকবর্ষ দূরত্বে অবস্থিত, সেখানেই রয়েছে এই অতিকায় গ্রহটি।