সুব্রত বিশ্বাস: রেলে চাকরি দেওয়া হবে। পোস্টিং হবে পূর্ব রেলে (Eastern Railway)। তাও একেবারে কলকাতায়, সদর দপ্তরে। এই প্রলোভনে রীতিমতো স্বপ্ন দেখে ফেলেছিলেন বিহারের গয়া জেলার নওয়াদার ৭ যুবক। এই চাকরি পেতে পাঁচ লক্ষ টাকা করে মাথা পিছু দিতেও কসুর করেননি তাঁরা। আগাম দু’তিন লক্ষ টাকা করেও দিয়েছেন কেউ কেউ। আর সেখানেই চরম প্রতারণার (Fraud) শিকার হলেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার হাওড়া (Howrah) স্টেশনের বাইরে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে সাতজনকে দাঁড় করিয়ে জানায়, এখানেই সংগঠিত হবে মেডিক্যাল পরীক্ষা। গয়া জেলায় বাস হলেও প্রতারকদের ছক অনুমান করে ফেলেন সাতজনই। স্টেশনের বাইরে রীতিমতো হইচই শুরু করে দেয় তাঁরা। এরপরই আরপিএফ (RPF) অভিযুক্ত অনিরুদ্ধ কুমার ও শৈলেন্দ্র কুমারকে গ্রেপ্তার করে ঘটনাস্থল থেকে। অভিযুক্তরাও গয়ার বাসিন্দা।
[আরও পডুন: ‘SSC’র ভূমিকা সন্দেহজনক, প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করব’, চেয়ারম্যানকে সশরীরে তলব বিচারপতির]
এই মুহূর্তে রেলের সব জায়গায় নিয়োগের পর মেডিক্যাল পরীক্ষা চলছে হাসপাতালগুলিতে। এই সুযোগে অনেকেই শুরু করেছে প্রতারণা। দিন কয়েক আগে বি আর সিং হাসপাতালের তিন যুবককে নিয়ে আসে দুই প্রতারক। এরপর হাসপাতালের বিল্ডিংয়ের পিছনে আবর্জনাস্তূপের পাশে মেডিক্যালে পরীক্ষার নাটক শুরু করতেই রেলের সাফাই কর্মীরা ধরে ফেলে প্রতারকদের। তুলে দেয় আরপিএফের অ্যাডমিন পোস্টের হাতে।
[আরও পডুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দিল্লিতে রাজ্যপাল, ‘শাহী’ বৈঠকে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা]
তারপরে আবার প্রতারণা হাওড়া স্টেশনের বাইরে। পূর্ব রেলের আরপিএফের আইজি পরম শিব বলেন, ”রেলে এখন সরাসরি নিয়োগ হয় না। রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের পরীক্ষায় পাশ করে মেডিক্যালে আসতে হয়। এই বিষয়টি প্রত্যেকের জানা উচিৎ। মানুষজন সচেতন না হলে এই ধরনের প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হতে হবে।”