সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভয়াবহ হিংসার সাক্ষী থাকল অগ্নিগর্ভ মণিপুর (Manipur)। অসুস্থ এক বালক-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে রাজধানী ইম্ফলে। জানা গিয়েছে, অসুস্থ ওই বালকটিকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তার মা ও আরেক প্রতিবেশী। সেই সময়েই অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন ধরিয়ে খুন করা হয়েছে তিনজনকে। প্রসঙ্গত, কুকি ও মেতেই দুই জনজাতির সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে।
বিপজ্জনক এলাকা থেকে সরিয়ে সেনা ছাউনিতে আনা হয়েছিল ৭ বছরের টংসিং হাংসিং ও তার পরিবারকে। জানা গিয়েছে, তার বাবা কুকি ও মা মেতেই সম্প্রদায়ভুক্ত। সেনাছাউনিতে থাকার সময়েই বাইরের সংঘর্ষে একটি বুলেট এসে লাগে হাংসিংয়ের মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে সেনার অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়েই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
[আরও পড়ুন: চেঙ্গিজের পর আসছে ‘বস ৩’, নতুন ছবিতে জিতের নায়িকা কে?]
হাসপাতালে যাওয়ার পথে আচমকাই অ্যাম্বুল্যান্সটি ঘিরে ফেলে একদল জনতা। পাহারা দেওয়ার জন্য সেনার আধিকারিকরা থাকলেও তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। তারপরেই অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। বন্ধ গাড়ির মধ্যেই পুড়ে মৃত্যু হয় সাত বছরের বালক হাংসিং ও তার মায়ের। সঙ্গে থাকা এক প্রতিবেশিনিও আগুনে পুড়ে মারা যান।
উপজাতিদের সংঘর্ষে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মণিপুর। মঙ্গলবারই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বাঙালি বিএসএফ জওয়ানের। আরও দুই জওয়ান আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেরাজ্যে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সাময়িক ভাবে সংঘর্ষ থামলেও ফের নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। এবার তার বলি হল এক সাত বছরের বালক।