সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের বোমাবর্ষণে ধূলিসাৎ গাজার আল-মাঘাজি শরণার্থী শিবির। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৭০ জনের। এমনটাই দাবি করেছে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি সংগঠন হামাস। এই হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তেল আভিভের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে হামাস।
এএফপি সূত্রে খবর, রবিবার ইজরায়েলের এই ভয়ঙ্কর হামলার কথা জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই বিষয়ে প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা জানিয়েছেন, ইজরায়েলের বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে আল-মাঘাজি শরণার্থী শিবির। সেখানে বহু পরিবারের বসবাস ছিল। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তিনি আরও অভিযোগ জানান, “ওই শরণার্থী শিবিরে যা হয়েছে তা গণহত্যা।” তেল আভিভের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছে হামাসও। তাদের বক্তব্য, এটা গণহত্যা। নতুন যুদ্ধপরাধ করেছে ইজরায়েল। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের সমস্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি! ৩০৩ ভারতীয় নিয়ে ফ্রান্সে আটকে পড়া বিমান পেল ওড়ার অনুমতি]
রবিবারই হামাস দাবি করেছিল, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে সেখানে ২০ হাজার ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। যার মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছে। কিন্তু এত রক্তপাতের পরও নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল ইজরায়েল। হামাসের শেষ না দেখে তারা লড়াই থামাবে না। একাধিকবার এই কথা জানিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
বলে রাখা ভালো, গাজায় মৃত্যুমিছিল রুখতে রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। রক্তপাত থামাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। কিন্তু আমেরিকার ভেটোতে তা আটকে যায়। ওয়াশিংটনের যুক্তি ছিল, এই প্রস্তাবে যুদ্ধের ময়দানে পরিস্থিতি কিছুই পালটাবে না। বাস্তব থেকে যোজন দূরে এই প্রয়াস। এটা অর্থহীন। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হওয়া হামলার বদলা নিতে হামাসকে চিরতরে মুছে ফেলার পণ করেছে ইজরায়েল। জঙ্গিদের নিকেশ করতে গাজায় তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ।