সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা (Article 370 of the Constitution of India) বাতিল করার সাড়ে চারমাস পর কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলল। উপত্যকা থেকে ৭২ কোম্পানি সেনা প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং, কাশ্মীর থেকে সঙ্গে সঙ্গে ৭ হাজার সেনাকর্মীকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগস্ট মাসে ৩৭০ ধারা বাতিলের আগেই উপত্যকাকে একপ্রকার সেনা ছাউনিতে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কাশ্মীরে মোতায়েন করা হয় কয়েকশো কোম্পানি আধা সেনা। গোটা কাশ্মীরেই জারি করা হয় কারফিউ। উপত্যকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়া ইস্তক কার্যত অবরূদ্ধ কাশ্মীর। ৩৭০ ধারা বাতিলের জেরে যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছিল, সেটিও দমন করেছে ভারতীয় সেনা। চারমাস পরে পরিস্থিতির স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত মিলতেই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে, এখনও উপত্যকায় কয়েক হাজার সেনা কর্মী মোতায়েন থাকছেন।
[আরও পড়ুন: NPR হল NRC’র প্রথম ধাপ! সতর্ক করলেন ওয়েইসি]
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র সচিব ও মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। কথা বলা হয় ডিজিপির সঙ্গে। তাঁরা প্রত্যেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে আশ্বস্ত করেন, পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তারপরই নেওয়া হয় সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ৭২ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে ছিল ২৪ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী (Central Armed Police Forces), ১২ কোম্পানি ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপি (ITBP), ১২ কোম্পানি সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ(CISF) , ১২ কোম্পানি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ, ও ১২ কোম্পানি সশ্বস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি।
[আরও পড়ুন: উদ্ধবের নামে কুমন্তব্য, মাথা মুড়িয়ে যুবককে ‘সাজা’ শিব সৈনিকদের]
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তকে অনেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন। বিশেষজ্ঞদের মত, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত না মিললে অমিত শাহ ঝুঁকি নিয়ে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতেন না।
The post পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত! কাশ্মীর থেকে ৭ হাজার সেনা প্রত্যাহার করল কেন্দ্র appeared first on Sangbad Pratidin.