সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এপ্রিল মাসের শেষেই নতুন সভাপতি পাবে বিজেপি। সূত্রের দাবি, বিজেপির সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে সংসদের অধিবেশন শেষ হওয়ার পর। আশা করা যায়, ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে।
২০১৯ সাল থেকে বিজেপি সভাপতির দায়িত্ব নাড্ডা। প্রথমে ছিলেন কার্যকরী সভাপতি। পরে ২০২০ সালের জুন মাসে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকেই সভাপতি বাছাই করা হয়। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগেই তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দফায় দফায় সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারায়। মার্চের মধ্যেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। এই মুহূর্তে বিজেপির ১৩টি সাংগঠনিক রাজ্যের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী অর্ধেকের বেশি রাজ্য সভাপতি সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে এলে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত করা যায়। সেক্ষেত্রে ১৯টি রাজ্যের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচন হতে পারে। সূত্রের দাবি, সবটাই মিটবে এপ্রিলের মাঝেই।
এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, দেশের সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপির রাজ্য সভাপতিদের বৈঠকে ডেকেছেন। বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষের আগে সকলের সঙ্গে বিদায় বার্তা সেরে নিতেই এই বৈঠক ডেকেছেন নাড্ডা। সেই বৈঠকের পরে ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করবে বিজেপি।
একটা সময় বিজেপি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে শিবরাজ সিং চৌহান, মনোহরলাল খাট্টার, সি আর পাতিল, ভুপেন্দ্র যাদবদের নাম শোনা গিয়েছিল। পরে তাঁরা প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। বিজেপিতে অঘোষিত নীতি বলে, দলের সংগঠনে বড় পদের কেউ মন্ত্রিসভায় থাকেন না। সেই সূত্র মেনে সভাপতি পদ ছাড়তে হয়েছিল অমিত শাহকেও। পরে নির্মলা সীতারমণের নামও শোনা গিয়েছিল। আবার এও শোনা যাচ্ছে, এবার দলিত কাউকে সভাপতি পদে বাছবে বিজেপি। গত রবিবার এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সংঘপ্রধান মোহন ভাগবতের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।