দেব গোস্বামী, বোলপুর: সিকিমে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ বীরভূমের একই পরিবারের শিশু ও মহিলা-সহ ৮ জন। ইলামবাজারের ভগবতী বাজার এলাকার বাসিন্দা সকলেই। ১ অক্টোবর, তাঁরা সিকিমে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকে ওই ৮ জনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পরিবারের সদস্যদের। বীরভূমের কমপক্ষে ৫০ জন বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছে বলেই খবর।
জানা যায়, ইলামবাজারের ভগবতীবাজার এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ মহফুজ রহমানের ছেলে, বউমা, নাতি ও অন্যান্য সদস্যরা পরিবারের ৮জন সদস্য বেড়াতে গিয়েছিলেন সিকিমে। ১ অক্টোবর বোলপুর থেকে তারা সিকিমের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দক্ষিণ সিকিমের লাচুং এলাকার একটি হোটেলে উঠেছিলেন তাঁরা। লাচুং থেকে লাচেন পৌঁছনোর পর ৩ অক্টোবর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে। ইতিমধ্যেই পরিবারের তরফ থেকে ইলামবাজার থানায় জানানো হয়। তবে একই পরিবারের ৮ জন সদস্যের নিখোঁজের ঘটনায় রীতিমত ঘুম উড়েছে পরিবারের বাকি সদস্যদের। প্রশাসন যাতে দ্রুত সিকিমে থাকা পরিজনদের খুঁজে বের করে ও ফোনে কথা বলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে সেই আর্জি জানাচ্ছে নিখোঁজ পরিবার। এবিষয়ে মহম্মদ মহফুজ রহমান বলেন, “৩ অক্টোবর রাত ৯ টার পর থেকে আর খোঁজ পাচ্ছি না ওদের। ড্রাগন নামে একটি হোটেলে ছিল। লাচুং থেকে লাচেনে আসে। আর যোগাযোগ নেই৷ আমরা খুবই দুশ্চিন্তায়। ঘুম নেই কারও৷ প্রশাসনকে জানিয়েছি৷ আমরা চাই ওদের সঙ্গে একবার ফোনে কথা বলতে।”
[আরও পড়ুন: তিস্তার জলস্তর কমতেই উদ্ধার দেহ, চার সেনা জওয়ান-সহ উদ্ধার ১৮ দেহ]
অন্যদিকে, জেলার কমপক্ষে ৫০ জনেরও বেশি পর্যটক বর্তমানে সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন বলে পর্যটন সংস্থা সূত্রে জানা যায়। ভ্রমণ সংস্থা থেকে জানা যায়, শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার প্রধান রাস্তায় হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তিস্তা নদীর পাড় ধরে সিকিমের দিকে এগিয়েছে এই সড়ক। হড়পা বানে গত মঙ্গলবার রাত্রেই ভেসে গেছে জাতীয় সড়কের একাধিক অংশ। সিকিমে বেড়াতে যাওয়া বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন সিকিমের বিভিন্ন স্থানে। আটকে পড়া পর্যটকদের সংখ্যা এবং তাদের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, “কেউ যদি বেড়াতে গিয়ে কোনও সমস্যায় পড়েন খবর পাওয়া মাত্রই পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার সব রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।”