শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: পুরনো জমি বিবাদ ঘিরে বৃহস্পতিবার সকালে এক ব্যবসায়ীর হোটেল ও বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এমনকী ওই ব্যবসায়ীর চারচাকা গাড়িও বাঁশ দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর লাঠি উঁচিয়ে এলাকা ছাড়ে আক্রমণকারী প্রায় পঁচিশ-তিরিশ দুষ্কৃতী। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের শিয়ালতোর রোডপাড়া এলাকার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ডিএসপি সোমশুভ্র সর্দারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা সুশীল সাহার সঙ্গে বিপ্লব সরকার নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীর দীর্ঘদিন ধরে জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদ চলছিল। আর সেই গোলমালকে কেন্দ্র করে বুধবার বড়দিনের রাতে বিপ্লবের সঙ্গে নতুন করে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ বাঁশ, রড নিয়ে প্রথমে তাঁর হোটেল ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর বিকাল চারটে নাগাদ ফের ওই হোটেলে ভাঙচুর চালিয়ে তির, ধনুক হাতে হোটেলের চারদিক ঘিরে রাখে দুষ্কৃতীরা।
অভিযোগের তির ব্যবসায়ী সুশীল সাহার বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সুশীল সাহা বলেন, "হোটেল ব্যবসার সঙ্গে হামলার কোনও সম্পর্ক নেই।" ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল ব্যবসায়ী বিপ্লব দাস বলেন, "নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না, আমার কত বড় ক্ষতি হয়ে গেল। এভাবে পথে বসতে হবে, ভাবতে পারছি না।"
অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে হোটেল রেস্তরাঁর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিমল কুণ্ডু বলেন, "ইসলামপুর শহরে দিনের বেলায় এইভাবে ভাঙচুর আগে কোনও দিন হয়নি। অবাক করা ঘটনা। দিনের বেলায় হোটেল বাড়ি, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। নাহলে এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়।"
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বিপ্লব ইসলামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইসলামপুরের ডিএসপি সোমশুভ্র সর্দার বলেন, "ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞসাবাদ চালিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।"