সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পবিত্র ধর্মস্থানকে অপবিত্র করার অভিযোগ! একটি প্যাগোডায় ‘সেক্স টয়’ (Sex Toy) বা যৌন পুতুল আনা ও পুতুলগুলিকে পুজো করার অভিযোগে তুলকালাম মায়ানমারে (Myanmar)। বশীকরণের চেষ্টা চলে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৮ ব্যক্তি। তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত আনার অভিযোগ আনা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মায়ানমারের ধর্ম ও সংস্কৃতি মন্ত্রক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানিয়েছে মন্ত্রক।
ঘটনাটি মায়ানমারের শ্বেনডং প্যাগোডার। আচমকা সেখানে ৮ জনের একটি দল দু’টি যৌন পুতুল নিয়ে হাজির হয়। এমনকী তারা পবিত্র প্যাগোডার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, শ্বেনডং প্যাগোডা মায়ানমারে বৌদ্ধ ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মস্থলগুলির মধ্যে অন্যতম। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা যৌন পুতুলগুলিকে নিয়ে প্যাগোডার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বাধা দেয়। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তরা প্যাগোডার গাড়ি রাখার জায়গায় পুতুলগুলি রেখে বিভিন্ন আচার পালন করেন। বশীকরণের মন্ত্রপাঠ করেন বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত বিদ্বেষী’ সুয়েলাতেই আস্থা ঋষির, তুমুল ক্ষোভের মুখে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী]
এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ পুতুলগুলিকে বৌদ্ধ ধর্মের কিছু চরিত্রের অনুকরণে সাজানো হয়েছিল। যদিও যৌন পুতুলের ব্যবহার হয়ে থাকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে। রক্তমাংসের নারীর সঙ্গে একজন পুরুষের যেমন শারীরিক সম্পর্ক হয়ে থাকে, কতকটা সেই ভাবেই যৌন পুতুলের সঙ্গেও যৌন মিলনের আনন্দ নেন একজন পুরুষ। এর ফলেই প্রশ্ন উঠছে, কেন দু’টি যৌন পুতুলকে পবিত্র প্যাগোডায় আনা হল, ওই পুতুলগুলিকে পুজো করাই বা কেন? উল্লেখ্য, একেকটি যৌন পুতুলের বাজার দর ২ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: এক্ষুণি ইউক্রেন ছাড়ুন, ভারতীয়দের নির্দেশ কিয়েভের দূতাবাসের]
এদিকে এই ঘটনায় নড়চড়ে বসেছে মায়ানমারের ধর্ম ও সংস্কৃতি মন্ত্রক। দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘বৌদ্ধ ধর্মের অবমাননা’-র অভিযোগ আনা হয়েছে ওই ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মন্ত্রকের পাশাপাশি প্যাগোডার অছি পরিষদ আলাদ করে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। অভিযুক্ত অন্য কোনও ধর্মের লোক কিনা, তাদের ঠিক কী উদ্দেশ্য ছিল তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।