কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এসএনসিইউ ওয়ার্ড, নবজাতক বিভাগ, শিশু বিভাগ এবং শিশু সার্জারি বিভাগে ছিল মৃত শিশুরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি।
বুধবার বেলা ১২ টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে মোট ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে খবর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এসএনসিইউ ওয়ার্ডে ৫৪ টি বাচ্চা রাখার মতো পরিকাঠামো থাকলেও ১০০-র বেশি শিশু ভর্তি। যা একটি কারণ। এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ভোলানাথ আইচ বলেন, খুবই কম ওজনের বাচ্চা, নিউমোনিয়া-সহ শেষ মুহূর্তে কিছু বাচ্চাকে রেফার করা হয়েছিল। তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৭ টি বাচ্চা ১ থেকে ৪ দিন বয়স, বাকি দুজনের বয়স ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে। ওই শিশুদের মধ্যে ৪ শিশুর জন্মগত সমস্যা ছিল বলে খবর। দুটি শিশুর ওজন ছিল ৪০০-৬০০ গ্রাম। একজনের ব্রেন শুকিয়ে গিয়েছিল। একটি শিশুর হার্ট ফুটো ছিল। একটি বাচ্চা ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল। এছাড়া নিউমোনিয়াও ছিল বলেই দাবি। হাসপাতালের দাবি, বেশিরভাগ শিশুই খুব খারাপ অবস্থায় রেফার হয়ে আসার কারণে এই ঘটনা।
[আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফর্মের আড়়ালে রেলে চাকরির টোপ! আর্থিক প্রতারণায় গ্রেপ্তার ৩]
এ বিষয়ে হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ অমিত কুমার দাঁ বলেন, জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এসএনসিইউ ওয়ার্ডের সংস্কার হওয়ায় সমস্ত শিশুকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে এই রোগী ভর্তির চাপ। তাছাড়া গোল্ডেন আওয়ারে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা হয় না শিশুর। সেকারণে ওই মৃত্যু। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হঠাৎ করে ওই ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে ঠিকই কিন্তু ৯০০ শিশু সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে গিয়েছে। এই মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ।