সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য। সংঘাতের আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। গাজা ভূখণ্ডে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যু হলেও ইজরায়েলি ট্যাঙ্কের গর্জন থামছে না। পালটা প্যালেস্টাইনের পক্ষ নিয়ে ফুঁসছে আরব দুনিয়া। এই প্রেক্ষাপটে সিরিয়ায় ইরানের একটি অস্ত্রভাণ্ডারে হামলা চালাল মার্কিন বোমারু বিমান। হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, বুধবার পূর্ব সিরিয়ায় ইরানের একটি অস্ত্রভাণ্ডারে বোমা ফেলে মার্কিন ফৌজের এফ-১৫ যুদ্ধবিমান। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তার পরই আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, সিরিয়ায় মার্কিন সেনাকে নিশানা করা হচ্ছে। তাই এই প্রত্যাঘাত। এক বিবৃতি জারি করে অস্টিন বলেন, “পূর্ব সিরিয়ায় ইরানের সেনাবাহিনীর ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোরের একটি অস্ত্রভাণ্ডারে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাকর্মীদের বিরুদ্ধে কাডস ফোর্সের হামলার জবাব দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”
[আরও পড়ুন: ধর্ষণ, গণহত্যায় নরককুণ্ড সুদান, গৃহহীন ৬০ লক্ষ, আধাসেনার মারে কোণঠাসা সেনা]
বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ঘোলা জলে মাছ ধরতে তৎপর হয়েছে ইরান (Iran)। হামাসকে মদত জোগাচ্ছে তেহরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সাফ বলেছেন, হামাসকে নিয়ে তিনি গর্বিত। লেবাননের সশস্ত্র হেজবোল্লা গোষ্ঠীও রাইসি সরকারের অঙ্গুলিহেলনে চলে। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মধ্যপ্রাচ্যে সেকেন্ড ফ্রন্ট খুলতে হামাসকে ব্যবহার করছে রাশিয়াও। ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন ফৌজের সঙ্গে লড়াইয়ে বিভিন্ন মিলিশিয়াগুলোকে হাতিয়ার ও টাকা জোগাচ্ছে ইরান। ইজরায়েল-হামাস সংঘাতকে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে দিতেই এই ষড়যন্ত্র। সব মিলিয়ে, মার্কিন ফৌজের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে ইসলামিক দেশটি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের ‘কাডস ফোর্স’-এর কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলেমানি-সহ ৮ জন। পালটা মার্কিন সেনাঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছিল ইরানের সেনা। ২০২২ সালে সিরিয়ায় বিশেষ অভিযানে নিহত হয়েছিলেন ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)-এর কমান্ডার জেনারেল আবোলফজল আলিজানি। এই ঘটনার নেপথ্যে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ।