সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মসজিদ থেকে নমাজ সেরে ফেরার পথে অপহরণ করে ২৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি। তার পরে নৃশংসভাবে খুন করা হল ৯ বছরের বালককে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ঠানেতে। আপাতত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় শিউরে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ঠানের বদলাপুরে গোরেগাঁও গ্রামে। বিকেলবেলা নমাজ পড়তে স্থানীয় মসজিদে গিয়েছিল ইবাদ নামে ৯ বছর বয়সি বালক। কিন্তু বেশ দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও সে বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখনই ইবাদের বাবার কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। ২৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তবে ফোনে বারবার প্রশ্ন করলেও আর কোনও তথ্য দেয়নি অপহরণকারীরা।
[আরও পড়ুন: ছেঁটে ফেলেছিলেন খোদ শাহ, কর্নাটকের খনি মাফিয়াকেই ফের দলে নিল বিজেপি!]
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন ইবাদের বাবা মুদাসির। পুলিশের পাশাপাশি ইবাদের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরাও। বিপদ আঁচ করতে পেরে বারবার ফোনের সিম কার্ড বদল করতে থাকে অপহরণকারীরা। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে নৃশংসভাবে ইবাদকে খুন করে তারা। বস্তার মধ্যে মৃতদেহ ভরে বাড়ির পিছনে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। সোমবার ইবাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনার পরদিনই ধরা পড়েছে মূল অভিযুক্ত সলমান মৌলবি।
কেন ইবাদকে খুন করলেন? জেরায় সলমন জানিয়েছে, সে পেশায় দর্জি। নিজের বাড়ি তৈরির জন্য বিশাল অঙ্কের টাকা দরকার ছিল। তাই ইবাদকে অপহরণ করে তার বাবার থেকে ২৩ লক্ষ টাকা হাতানোর ছক কষে। সেই মতো মুক্তিপণ চেয়ে ফোনও করে সলমান। কিন্তু পুলিশের তল্লাশির খবরে ভয় পেয়ে যায়। ধরা পড়ার ভয়েই ইবাদকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে। আপাতত তাকে হেফাজতে রেখে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। নাম জড়িয়েছে সলমানের ভাইয়েরও। অপহরণের ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।