সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মগত বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার নানান নিদর্শন রয়েছে সারা বিশ্বে। তেমনই একটি বিরল রোগের অন্যতম ‘ওয়্যারউল্ফ’ সিনড্রোম। এবার মহারাষ্ট্রের এক শিশু আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
মূলত এই রোগটি জিনবাহী। এই রোগটির মূল সমস্যা দেহে মাত্রাতিরিক্ত লোম থাকা। এই লোমের ফলেই এই রোগটির নাম ‘ওয়্যারউল্ফ’ সিনড্রোম। অর্থাৎ রোগীর শরীরে লোম থাকার কারণে তাকে নেকড়ের মতো দেখতে হয়। ঠিক যেমন সিনেমায় দেখা যায় মানুষ থেকে নেকড়ে হয়ে ওঠার সময় শরীর মাত্রাতিরিক্ত লোমশ হয়ে ওঠে! সেই কারণেই এমন বিচিত্র নাম দেওয়া হয়েছে এই রোগের।
মা-বাবার থেকেই শিশুদের শরীরে এই রোগের সঞ্চার ঘটে। সম্প্রতি পুণের একটি পাঁচ মাসের শিশু এই রোগে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মা মনীষা রাউত জানিয়েছেন, ছোটবেলায় তিনি এবং তাঁর বোনও এই একই সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। সেই সূত্রেই এই বিরল জিনবাহী রোগে আক্রান্ত হয়েছে ওই শিশু।
মনীষা দেবী জানিয়েছেন, ছোটবেলায় তাঁকে এই সমস্যার জন্য অনেক কটূক্তি শুনতে হয়েছে। অনেকেই তাঁদের অপমান করেছেন। স্কুল-কলেজেও হয়রানির শিকার হয়েছেন তাঁরা। এখন তাঁর সন্তানকেও এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই মায়ের মন তাঁর সন্তানের জন্য কেঁদে উঠছে। সারা জীবন তিনি যে লড়াই করছেন, তা তাঁর সন্তানকেও লড়তে হবে। এই ভেবে অনিদ্রায় রাত কাটাচ্ছেন বছর ২২-এর এই গৃহবধূ।
এই বিরল রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। ফলে আজীবন এই রোগ বহন করে যেতে হবে। এখন শিশুটির বয়স সবে পাঁচ মাস! মনীষা দেবী জানাচ্ছেন, তাঁর শাশুড়ি ইতিমধ্যেই বাচ্চাটিকে খারাপ দেখতে বলে বিভিন্ন অপমানজনক কথা বলেন। কিন্তু মা হিসাবে রাগ হলেও কোনও প্রতিবাদ তিনি করতে পারেন না!
The post নেকড়ে বাঘের মতো লোমশ শিশু জন্মাল মহারাষ্ট্রের পরিবারে! appeared first on Sangbad Pratidin.