অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: চকলেটের লোভ দেখিয়ে সাত বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়। অভিযুক্ত বৃদ্ধের বাড়ি ও দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র ঘর থেকে বের করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পলাতক অভিযুক্ত সালাম শেখ ও তার পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
হাওড়ার ডোমজুড়ের (Domjur) বাসিন্দা শেখ সালাম ওরফে সালাম বাবা। দীর্ঘদিন ওই এলাকায় মাদুলি ও কবজ বিক্রি করত সে। গত শুক্রবার বিকেলে বছর ৬৫-এর শেখ সালাম তার প্রতিবেশী ৭ বছরের শিশুকন্যাকে নিজের দোকানে ডাকে। চকোলেটের প্রলোভন দেখায়। অভিযোগ, এরপর দোকানের মধ্যে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে সে। ওই ঘটনার পর শিশুটি আচমকা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ডোমজুড় হাসপাতালে নিয়ে যায় বাবা-মা। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শিশুর বাবা-মাকে গোটা বিষয়টি জানান। এরপরই বাঁকড়া পুলিশ আউটপোস্টে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির বাবা।
[আরও পড়ুন: ATM-এ টাকা ভরার আগেই লুটের চেষ্টা, বাধা পেয়ে ভরা বাজারেই গুলি ছুঁড়ল দুষ্কৃতীরা]
মঙ্গলবার এই খবর এলাকায় চাউর হতেই উত্তেজিত জনতা শেখ সালেমের দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। অভিযুক্তের ঘরের আসবাবপত্র রাস্তায় বের করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। অবস্থা বেগতিক বুঝে অভিযুক্ত শেখ সালেম সপরিবারে চম্পট দেয় এলাকা থেকে। তার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এলাকার মানুষ ওই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও নানা ধরনের অপকর্ম করেছে সালেম। পুলিশ জানিয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। নির্যাতিতা শিশুটির চিকিৎসা চলছে।