দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ক্যানিংয়ের তিন তৃণমূল নেতা খুনে (Canning TMC leader murder) গ্রেপ্তার আরও ১। মৃত পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝির পরিবারের তরফে করা এফআইআরে নাম ছিল ধৃত এবাইদুল্লা মণ্ডলের। সন্দেহজনক টোটো ধাওয়া করে জয়নগর (Jaynagar) থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফলে তিন তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় মোট গ্রেপ্তারির সংখ্যা বেড়ে হল ২।
ঘটনার সূত্রপাত দিন সাতেক আগে। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে গত বৃহস্পতিবার খুন হন পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি এবং তাঁর দুই সহকর্মী ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামানিক। ঘটনার পরের দিনই তদন্তে গঠিত হয় পাঁচ সদস্যের সিট (SIT)। আর ঠিক ওই রাতেই ক্যানিংয়ে তিন তৃণমূল নেতা-কর্মী খুনের তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। আফতাবউদ্দিন শেখ নামে ওই অভিযুক্তকে কুলতলি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আফতাবউদ্দিন এফআইআরে নাম থাকা বসির শেখের দাদা। ধৃতদের জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের হদিশ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালের পথেই খড়গপুর আইআইটির আরও এক ছাত্র, বাংলায় AAP-এর প্রচার শুরু সুধীর সিংয়ের]
তদন্তকারীদের সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, দিনতিনেক আগে স্বপন মাঝিকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। ধর্মতলার একটি মাঠে বসেই খুনের ছক কষেছিল অভিযুক্তরা। ঠিক হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালেই হবে অপারেশন। সে কারণে বুধবার রাত থেকে স্বপনবাবুর গতিবিধির উপর তীক্ষ্ম নজর ছিল আফতাবউদ্দিনের। ওইদিন তিনি কোথায় যাচ্ছেন, কারাই বা সঙ্গে রয়েছে – সে সমস্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য খুনের ষড়যন্ত্রকারীদের দিতে থাকে আফতাবউদ্দিন। বৃহস্পতিবার সকালেও বেরনোর পর থেকে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝির উপর নজরদারি চালায় ধৃত। এমনকী বাইকে চড়ে তাঁকে অনুসরণও করতে থাকে সে। এরপর ধর্মতলার পিয়ার পার্কের কাছে সব শেষ। খুনের ঘটনায় এবাইদুল্লার জড়িত থাকলেও তার ঠিক কী ভূমিকা ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।