সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেন কোনও মনস্টার মুভির অতিকায় চরিত্র। কিন্তু রুপোলি পর্দা নয়, সত্যিকারের পৃথিবীতেই খোঁজ মিলল তার। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) কুইন্সল্যান্ডে দেখা গেল এই অতিকায় মথকে (Moth)। যেমন বড়, তেমনই ভারী তার চেহারা। বলা যায়, একটা মাঝরি আকারের ইঁদুরের মতো! যা দেখে বিস্মিত নেটিজেনরা। ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, কুইন্সল্যান্ডের মাউন্ট কটন স্টেট স্কুলের নির্মীয়মাণ ক্লাসরুমে হঠাৎই দেখা যায় মথটিকে।
স্বাভাবিক ভাবেই এমন অদ্ভুত আকারের মথকে ঘিরে রাতারাতি চাঞ্চল্য দেখা যায়। স্কুলের প্রিন্সিপাল মেগান স্টুয়ার্ড ‘এবিসি রেডিও ব্রিসবেন’-কে জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের নতুন বিল্ডিংটি রেনফরেস্টের একেবারে পাশে অবস্থিত। তৈরি হওয়ার সময়ই মথটি আবিষ্কৃত হয়।’’ জানা যাচ্ছে, যেহেতু রেন ফরেস্ট বা বৃষ্টিচ্ছায় অরণ্যের পাশে অবস্থিত, তাই ওই স্কুল চত্বরে নানা রকম পশুপাখি কিংবা কীটপতঙ্গের দেখা মেলে। কিন্তু এমন মথ কখনও দেখা যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এই মথের ছবি। অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন সেটিকে দেখতে।
[আরও পড়ুন: বিশালদেহী ফুল থেকে দুর্গন্ধ! কৌতূহল, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বর্ধমানবাসী]
তবে এমন মথ যে খুব বিরল প্রাণী নয়, তা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সাধারণত কুইন্সল্যান্ড ও নিউ সাউথ ওয়েলসের সমুদ্রতটের কাছাকাছি এরা থাকে। তবে সাধারণত লোকচক্ষুর আড়ালেই থাকে বলে খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না। কুইন্সল্যান্ড মিউজিয়ামের ‘কীটবিজ্ঞান’ বিভাগের প্রদান ক্রিস্টিন ল্যাম্বকিন জানিয়েছেন, এরাই আয়তন ও ভরের অনুপাত অনুযায়ী পৃথিবীর সবথেকে ভারী জীব। তাঁর কথায়, ‘‘এরা উড়তে পারে না। উড়লেও খুব আস্তে আস্তে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নেহাত কোনও প্রয়োজন পড়লে স্ত্রী মথগুলি ধীরে ধীরে গাছে ওঠে।’’
এই মথগুলির মধ্যে স্ত্রী মথগুলিই বেশি ভারী। পুরুষদের প্রায় দ্বিগুণ। সর্বোচ্চ ২৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য হয় তাদের। সর্বোচ্চ ওজন ৩০ গ্রাম। তবে এরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে খুব বেশিদিন বাঁচে না। আপাতত ওই স্কুলের ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার হওয়ার পরে বহু নেটিজেনই তা শেয়ার করেছেন। রাতারাতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে মানুষের নজর থেকে দূরে সরে থাকা অতিকায় মথগুলি।