টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: মহিলা মোর্চার নেত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার নয়া সভাপতি সুজিত আগস্থির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বাঁকুড়ায়। অস্বস্তিতে দল।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগকারিণী বাঁকুড়া (Bankura) বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সম্পাদক। মঙ্গলবার সকালে তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে তিনি বলেছেন, সুজিত আগস্থি তাঁর উপর যৌন নির্যাতন করেছেন। যদিও এদিন বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনার কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি, এমনটাই দাবি বাঁকুড়া জেলা পুলিশের। ওই ভিডিও বার্তায় অনিতা দেবী বলেছেন, বহুদিন ধরেই অভিযুক্ত তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এরপর অত্যাচার বাড়ে। যৌন নির্যাতন করা হয় তাঁকে। তবে পুলিশের কাছে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ কেন জানাননি? সেই প্রশ্নের উত্তরে নেত্রীর স্বামী বলেন, দলের তরফে এবিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া ব্লকের মালিয়াড়া গ্রামে। অভিযোগকারিণী বিজেপি নেত্রীর বাড়ি ওই ব্লকের বেলিয়াতোড়ের বাউরি পাড়া সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, বেলিয়াতোড়ের ওই পরিবার বরাবরই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় দলনেত্রী হিসেবেও তিনি পরিচিত। গত দু’বছর ধরে তিনি বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সম্পাদক পদে ছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সুজিত আগস্থির সাফাই, পদের জন্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত সুজিত নানা অনৈতিক কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, এর আগেও একাধিকবার ওই মহিলা নেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। দলের তরফেও ওই বিজেপি নেতাকে সতর্ক করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই সুনীল সিংকে নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ রাজ্যের, ফেরালেন বিধায়ক]
পুলিশ সূত্রের খবর, গত বছর ২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগকারিণী দলের রাজ্য অফিসে গিয়ে ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তারপর থেকেই অভিযোগকারিণীর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। সম্প্রতি বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিগৃহিতার উপর যৌন নির্যাতন করেন অভিযুক্ত। এপ্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ হয়নি।”