সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্ল্যাক হোল (Black Hole)। যার বাংলা নাম কৃষ্ণগহ্বর। মহাকাশের এমন এক সর্বগ্রাসী অস্তিত্ব যে তার শরীরের মধ্যে সেঁধিয়ে নিতে পারে আস্ত নক্ষত্র! বরাবরই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিস্মিত হয়ে লক্ষ করেছেন এর গতিবিধি। এর আগে বছর দুয়েক আগে ব্ল্যাক হোলের ছবি তুলে হইহই ফেলে দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এবার তাঁরা সন্ধান পেলেন এমন এক ব্ল্যাক হোলের, যাকে মনে করা হচ্ছে ক্ষুদ্রতম। অন্তত এখনও পর্যন্ত যত ব্ল্যাক হোলের সন্ধান মিলেছে তাদের মধ্যে এর থেকে ছোট কেউ নেই।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই ব্ল্যাক হোলের শরীরে ঠাসা রয়েছে সূর্যের ভরের তিনগুণ ভর! দেড় হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই ব্ল্যাক হোলটিকে বিজ্ঞানীরা ডাকছেন ‘ইউনিকর্ন’ নামে। এই নামকরণের পিছনে অন্যতম কারণ এর অভিনব গঠন। তেমনটাই জানিয়েছেন ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণারত অধ্যাপক থারিন্ডু জয়াসিঙ্ঘে। ‘রয়্যাল অ্যাস্ট্রনমিক্যাল সোসাইটি’র জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই ব্ল্যাক হোলের কথা। সেই গবেষণাপত্রটির অন্যতম লেখক জয়াসিঙ্ঘে। ‘ইউনিকর্ন’ একটি নক্ষত্রের সঙ্গে পাক খাচ্ছে। V723 Mon নামের সেই নক্ষত্রটি ‘লাল দৈত্য’ দশায় রয়েছে।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে, নিজেদের স্পেস স্টেশন বানাচ্ছে রাশিয়া]
গবেষমাপত্রটির সহ-লেখক ক্রিস স্টানেক জানাচ্ছেন, ব্ল্যাক হোল নানা ধরনের ভরের হতে পারে। কিন্তু মাত্র তিনটি নক্ষত্রের ভরসম্পন্ন এমন ব্ল্যাক হোল তাঁদের চমকে দিয়েছে। কী করে এই ধরনের ব্ল্যাক হোল তৈরি হল, অদূর ভবিষ্যতে তা নিশ্চয়ই জানা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেলে বিজ্ঞানীরা খুবই উত্তেজিত হন। কেননা তার ঘোর কৃষ্ণ শরীরের জন্য তার হদিশ পাওয়া দুস্তর। সাধারণ ভাবে ব্ল্যাক হোল তিন ধরনের। সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক হোল, যেটি পৃথিবী থেকে ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত, তার ভর সূর্যের ভরের ৪০ লক্ষ!