শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ভরদুপুরে রাজ্যে শুটআউট। কুলটির চিনাকুড়িতে গুলিতে প্রাণ গেল মাইক্রোফিনান্স সংস্থার কর্ণধারের। চিনাকুড়ি রেলগেটের কাছে নিজের অফিসে বসেছিলেন কর্ণধার উমাশংকর চৌহান। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অফিসের বাইরে কাচের জানলা দিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতী। তাতেই প্রাণ হারান তিনি। তার পরই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
উমাশংকর চৌহান, মাইক্রোফিনান্স সংস্থার কর্ণধার। রবিবারই চেন্নাই থেকে ফেরেন তিনি। সোমবার কুলটির চিনাকুড়িতে ওই সংস্থার অফিসে ছিলেন উমাশংকর। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেখানে এক যুবক পৌঁছয়। তার মুখে গামছা বাঁধা ছিল। ওই সংস্থার রিসেপশনে এসে উমাশংকরের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। সাক্ষাতের জন্য আগে থেকে সময় নিয়েছেন কিনা, সে প্রশ্ন করা হয় তাকে। ওই যুবক জানায়, আগাম সময় নেওয়া রয়েছে। মাইক্রোফিনান্স সংস্থার কর্মী যুবককে অপেক্ষা করতে বলেন। কর্ণধারকে ওই যুবকের কথা বলতে যান।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে ‘গণধর্ষণ’, তেহট্টে ৩ যুবকের যৌন লালসার শিকার নাবালিকা!]
অভিযোগ, সেই সময় অফিসের কাচের জানলার বাইরে দিয়ে উমাশংকরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতী। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় সে। উমাশংকর রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। সেখানেই প্রাণ যায় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। সংস্থার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ ওই দুষ্কৃতীকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই দুষ্কৃতী একাই এসেছিল নাকি তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণেই বা মাইক্রোফিনান্স সংস্থার কর্ণধার উমাশংকরকে টার্গেট করল দুষ্কৃতী, তাও তদন্তসাপেক্ষ বলেই জানিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, এর আগে গত অক্টোবর মাসে একইভাবে কুলটির চিনাকুড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরেক সুদ কারবারির। শম্ভুনাথ পণ্ডিত খুনের মাত্র ৬ মাসের মাথায় ফের খুনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।