সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রক্ষকই ভক্ষক! বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ গণধর্ষিতা হন ওই তরুণী। অপকর্মে পুলিশকর্মী যুবকের সঙ্গী হন তাঁর দাদা। দাদার ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দুই ভাই মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগে নতুন করে মুখ পুড়েছে যোগীরাজ্যের পুলিশের। তদন্ত নামলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত তরুণী সাহারানপুরের বাসিন্দা। পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, সামাজিকমাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের এক কনস্টবলের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। কিছুদিন পর তাঁদের মধ্যে প্রেমের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কনস্টেবল যুবক বিয়ের প্রতিশ্রুত দিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এর জন্য একাধিক হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। এর ফলে দু’বার অন্তঃসত্বাও হয়ে পড়েন তিনি। তরুণী জানিয়েছেন, গত ২৫ জানুয়ারি কনস্টবলের বিরুদ্ধে একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। এরপরও তাঁর সঙ্গে তঞ্চকতা হয়।
[আরও পড়ুন: এক দশক পরে ভারতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী, SCO সম্মেলনে কি গলবে বরফ?]
অভিযুক্ত পুলিশকর্মী মিটমাট করতে চেয়ে তরুণীকে একটি ভুয়ো বিয়ের হলফনামায় সই করান। এর পর শামলিতে দাদার ফ্ল্যাটে তরুণীকে নিয়ে যান কনস্টেবল। অভিযোগ, সেখানে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দুই ভাই মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করেন। অপকর্মের পর তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই পুলিশ সুপারের কাছে যাবতীয় ঘটনা জানিয়ে চিঠি লেখেন তিনি। বর্তমানে ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও অভিযুক্ত পুলিশকর্মী এবং তাঁর দাদাকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি।