শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: রাজগঞ্জের পর এবার নক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধুপগুড়ি। পরকীয়ার অভিযোগে প্রেমিক যুগলকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হয় তাঁদের। অবশেষে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে নির্যাতিতদের।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির (Dhupguri) খট্টিমারী সংলগ্ন ভাণ্ডানি এলাকার বাসিন্দা এক ব্যাক্তি কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ধরে ভিনরাজ্যে থাকেন। বাড়িতে একাই থাকতেন তাঁর স্ত্রী। ওই দম্পতির সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ওই মহিলা পাশের গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ওই যুবকও বিবাহিত, সন্তান রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকার বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়েছিল যে, সম্পর্কে জড়িয়েছিলে ওই বধূ ও যুবক। হাতেনাতে ধরার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: তালসারির সমুদ্র থেকে উদ্ধার মধ্যমগ্রামের যুবকের দেহ, হদিশ মেলেনি অপরজনের]
রবিবার রাতে ১২ টা নাগাদ প্রেমিকার বাড়িতে যান ওই যুবক। বিষয়টি স্থানীয়দের নজর এড়ায়নি। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে মহিলার বাড়িতে চড়াও হয়। ঘর থেকে আপত্তিকর অবস্থায় উদ্ধার হয় যুগল। এরপরই ছাগল বাধা দড়ি দিয়ে বাঁধা হয় যুগলকে। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। মধ্যরাতে জুতোর মালা পড়িয়ে যুগলকে ঘোরানো হয় এলাকায়। খবর পাওয়ামাত্রই রাত ২ টো নাগাদ ঘটনাস্থলে যায় ধুপগুড়ি থানার পুলিশ। তাঁরাই উদ্ধার করে যুগলকে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতেও একই ঘটনা ঘটেছিল রাজগঞ্জে। একাধিকবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে এক মহিলার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, নতুন নতুন প্রেমিকের সঙ্গে বহুবার ওই মহিলা ঘরও ছেড়েছেন বলে দাবি। সেই কারণে ওই মহিলার উপর ক্ষোভ জন্মেছিল স্থানীয়দের। বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। কেটে নেওয়া হল চুল। এমনকী জুতোর মালা গলায় পরিয়ে গোটা গ্রামেও ঘোরানো হয় তাকে। মধ্যযুগীয় বর্বরতার খবর পায় রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিশাল পুলিশবাহিনী। তারপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। একদিনের মধ্যে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি জলপাইগুড়িতে।