সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকালই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসে দিল্লি সরকারের প্রশংসার অভিযোগ আনে বিজেপি (BJP)। যদিও সেই দাবি খারিজ করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস (New York Times)। সব মিলিয়ে খানিক অস্বস্তিতেই আপ (AAP) শীর্ষ নেতৃত্ব। এর মধ্যেই একটি মানহানির মামলায় স্বস্তি পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal), মণীশ সিসোদিয়া। এই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও প্রাক্তন আপ নেতা যোগেন্দ্র যাদবকেও অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনজনকেই বেকসুর খালাসের রায় দিল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।
কেজরি, মনীশ ও যোগেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন আইনজীবী সুরেন্দ্র শর্মা। তিনি দাবি করেছিলেন, ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তে তাঁর প্রার্থী পদ আপের তরফে বাতিল করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, সুরেন্দ্র ইতিমধ্যে প্রয়াত হয়েছেন। বর্তমানে মামলা লড়ছেন তাঁর ভাইপো। সুরেন্দ্র দাবি করেছিলেন, কেবল শেষ মুহূর্তে প্রার্থী পদ বাতিল করাই নয়, এইসঙ্গে সেই বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলি ছিল তাঁর পক্ষে মানহানিকর। এর ফলে সমাজে তাঁর খ্যাতি নষ্ট হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘গাড়ি কিনবেন না, কাউকে পা ছুঁতে দেবেন না’, দলের ভাবমূর্তি শোধরাতে একগুচ্ছ নির্দেশ তেজস্বীর]
মূলত এই অভিযোগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য দুই আপ নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুরেন্দ্র শর্মা। যদিও আদালতের বক্তব্য, অভিযোগকারীর উদ্ধৃত সংবাদপত্রে প্রকাশিত নিবন্ধগুলি পর্যালোচনা করা হয়েছে। মানহানির মামলা স্থাপন করা যায়নি। এরপরেই বিচারক বিধি গুপ্তা আনন্দ অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া ও যোগেন্দ্র যাদবকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। শুক্রবার সকালে রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার ২০টি স্থানে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যে অন্যতম সিসোদিয়ার বাড়ি। জানা গিয়েছে, দিল্লি আবগারি নীতিতে অনিয়মের অভিযোগে শুরু হওয়া তদন্তের কারণেই এই তল্লাশি।
[আরও পড়ুন: মদ্যপানে বাধা দেন বাড়িওয়ালা, হাতুড়ি মেরে খুন করে সেলফি তুলল ভাড়াটে]
মণীশ সিসোদিয়া টুইটারে লেখেন, ‘সিবিআই এসেছে। তাদের স্বাগত। আমি অত্যন্ত সৎ। লক্ষ শিশুর ভবিষ্যৎ তৈরি করছি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, যারাই ভাল কাজ করে তাদেরই এভাবে বিরক্ত করা হয়। এই কারণেই আমাদের দেশ এক নম্বর হতে পারছে না।’