দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের বাঘের হামলায় প্রাণ গেল মৎস্যজীবীর (Fisherman)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের সুন্দরবন কোস্টাল থানার ঝিলা ৫ নম্বর জঙ্গলের বলখালির ঘটনা। ওই মৎস্যজীবীর কাছে বৈধ অনুমতি পত্র ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।
বুধবারের বাজার থেকে চারজন মৎসজীবী ঝিলা ৫ নম্বর জঙ্গলের বলখালিতে কাঁকড়া ধরতে যান। সেই সময় একটি বাঘ হঠাৎ নৌকার সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সন্ন্যাসী মণ্ডল নামে এক মৎসজীবীকে ধরে নিয়ে জঙ্গলে ভিতরে চলে যায় বাঘটি (Royal Bengal Tiger)। সঙ্গে থাকা অপর তিন মৎসজীবী বাঘের সঙ্গে লড়াই করতে শুরু করেন। লাঠি, নৌকার হালই তাঁদের হাতিয়ার। মৎস্যজীবীদের হামলায় বাঘটি সন্ন্যাসীকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: যেখানে সেখানে আধার কার্ডের জেরক্স জমা দেবেন না! নির্দেশিকা দিয়েও প্রত্যাহার কেন্দ্রের]
মৎস্যজীবীর দেহটি উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে যায়। মৎস্যজীবীর পরিবারের সকলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সন্ন্যাসী মণ্ডলের মৃত্যুর খবরে এলাকায় নামে শোকের ছায়া। সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের অধিকর্তা তাপস মণ্ডল বলেন, “ঘটনার খবর পেয়েছি। বাঘের আক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ঠিক নির্দিষ্ট কোন জায়গায় হয়েছে সেটা এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। তবে যাঁরা কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন, তাঁদের বৈধ কোন কাগজপত্র ছিল না। এমনিতেই এখন মাছ কাঁকড়া ধরার নিষেধ রয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও বাঘের হামলায় প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী। নদীর চরে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে প্রাণহানি হয় তাঁদের। পেটের দায়ে জঙ্গলে হানা দিয়ে বারবার প্রাণহানির ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। বনদপ্তরের গাফিলতি নাকি জীবিকার অভাবে এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।