অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: স্কুলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছাত্রী। ওয়াটার পিউরিফায়ার থেকে বোতলে জল ভরতে গিয়ে বিপত্তি। গুরুতর অসুস্থ চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। হাওড়ার বাঁকড়ার মিশ্রপাড়া শিক্ষাকেন্দ্রের ছাত্রী সে। অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীটি বর্তমানে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভরতি। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার নির্দিষ্ট সময়ে হাওড়ার বাঁকড়ার মিশ্রপাড়া শিক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী আরফিন পারভিন। বছর নয়েকের ওই স্কুলছাত্রী তাড়াহুড়ো করে ফাঁকা বোতল নিয়ে স্কুলে চলে আসে। স্কুলের ওয়াটার পিউরিফায়ার থেকে বোতলে জল ভরতে গিয়েছিল সে। তখন ঘড়ির কাঁটায় বেলা বারোটা হবে। ওয়াটার পিউরিফায়ারে হাত দেওয়া মাত্রই গোটা শরীরে বিদ্যুৎ খেলে যায় আরফিনের। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরে ছটফট করতে থাকে ওই ছাত্রী।
[আরও পড়ুন: দমকল দুর্নীতি: জরিমানার মুখে PSC, আরও বাড়ল নিয়োগে স্থগিতাদেশের মেয়াদ]
স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকারা খবর পান। দৌড়ে আসেন তাঁরা। শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতির বন্দোবস্ত করা হয়। হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলছে শিশুর। তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। ওয়াটার পিউরিফায়ার থেকে কীভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হল শিশুটি, তা খতিয়ে দেখছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, চলতি মাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। কলকাতা পুরসভার ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে হরিদেবপুরে জমা জল দিয়ে যাওয়ার সময় বাতিস্তম্ভে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল নীতিশ যাদব নামে এক বালকের। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে নারকেলডাঙা থানা রাজাবাজারের (Rajabazar) সাহেববাগান এলাকাতেও। তড়িদাহত হয়ে প্রাণ যায় এক কিশোরের। এবার বিদ্যুৎ বিপদ ডেকে আনল হাওড়ায়। প্রাণহানি হয়নি ঠিকই। তবে স্কুলছাত্রীর অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক।